দুদিন ধরে লোকানো হয় দেহাংশ, পিংলায় শ্বশুর খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়

পিংলা কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়।  পুলিসের জেরায় দোষ কবুল ছেলে ও ছেলের বউয়ের। শ্লীলতাহানির হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে গিয়েই শ্বশুরের গলায় ছুরি চালিয়ে দেয় বর্ষা। তারপর  দেহ লোপাটে যে নিখুঁত পরিকল্পনা করেছিল বর্ষা ও শুভ, জেরায় তা শুনে  চমকে উঠছেন তদন্তকারীরা।

Updated By: Mar 21, 2018, 08:56 PM IST
দুদিন ধরে লোকানো হয় দেহাংশ, পিংলায় শ্বশুর খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়

নিজস্ব প্রতিবেদন : পিংলা কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়।  পুলিসের জেরায় দোষ কবুল ছেলে ও ছেলের বউয়ের। শ্লীলতাহানির হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে গিয়েই শ্বশুরের গলায় ছুরি চালিয়ে দেয় বর্ষা। তারপর  দেহ লোপাটে যে নিখুঁত পরিকল্পনা করেছিল বর্ষা ও শুভ, জেরায় তা শুনে  চমকে উঠছেন তদন্তকারীরা।

আত্মরক্ষার জন্যেই খুন। কিন্তু দেহ লোপাট প্ল্যান এক্কেবারে পাকা অপরাধীদের মতোই। পিংলায় বৃদ্ধ খুন কাণ্ডে দেহ পাচারের পরিকল্পনা শুনে চমকে উঠছে পুলিসও। ১৪  জানুয়ারি পিংলায় খুন হন নিখিল মাইতি। অভিযুক্ত বর্ষা মাইতির বয়ান অনুযায়ী, সন্ধেয় রান্না করছিলেন তিনি। সেইসময় শ্বশুরমশাই নিখিল মাইতি তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। রান্না করার ছুরি দিয়ে তিনি শ্বশুরের গলায় আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। স্বামীর যে চরিত্রের দোষ ছিল ,তা মানছেন নিখিল বাবুর স্ত্রীও।

আরও পড়ুন, সালিশির মাতব্বরি! মায়ের 'বিবাহ বহির্ভূত' সম্পর্কের প্রমাণ পেতে মেয়েকে অর্ধনগ্ন করে তল্লাশি

স্বামী ফিরতেই দুজনে মিলে পরিকল্পনা করে দেহ পাচারের সুবিধার জন্য হাত ও পা কেটে ফেলা হয়। এরপর একটা বস্তায় মাথা সমেত ধড় পুরে দেওয়া হয়। মোটর সাইকেলে পিংলা থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে ডেবরায় গিয়ে একটি ফাঁকা লরিতে তুলে দেয় তারা। পরদিন ১৫ জানুয়ারি পা ও হাতের দেহাংশ নিয়ে তারা রওনা  হয়ে যায় পাঁশকুড়ার আড়র গ্রামে। সেখানেই একটি  নির্জন জায়গায় হাত ও পায়ের অংশ পুঁতে দেয় তারা।

বর্ষার পরিবারের দাবি, ১৬ জানুয়ারি আড়র গ্রামে সন্ধেয় জলসা দেখতে যায় জামাই ও মেয়ে। এরপর ১৭ জানুয়ারি পিংলায় নিজের বাড়ি গিয়ে পরিস্থিতি বুঝে বিকেলে ফের পাঁশকুড়ায় চলে যায় দম্পতি। পরদিন ১৮ জানুয়ারি পিংলা থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। সেখানে বলা হয় ১৫ তারিখ থেকে নিখোঁজ তাদের বাবা।

আরও পড়ুন, আলমারিতে লুকিয়েছিলেন 'খদ্দের'! পর্দাফাঁস মধুচক্রের কারবারের

এর একমাস পর ১৯ ফেব্রুয়ারি আড়ং গ্রামের জঙ্গলেই কাটা পা নজরে আসে এক গ্রামবাসীর। শুরু হয় তদন্ত। নিখিলের পায়ের একটি আঙুল বড়ো ছিল। প্যান্ট আর পায়ের আঙুল দেখেই দেহ শনাক্ত করে নিখিল বাবুর পরিবার।

আরও পড়ুন, রক্তাক্ত ইন্দ্রলোক! ঘরের বাইরে উদ্ধার পরিচারিকা, ভিতরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় মিলল যুবক

নিখিল বাবুর পরিবার ও গ্রামবাসীদের সন্দেহের তালিকায় প্রথমেই ছিল ছেলে ও তার মা টিয়া মাইতি , টিয়া মাইতির প্রেমিক ও সজনি বলে এক মহিলার নাম। সেই অনুযায়ী ছেলে শুভ ও বর্ষাকে আটক করে পুলিস।পুলিসের কঠিন জেরায় ভেঙে পড়ে শুভ ও বর্ষা। তখনই তারা স্বীকার করে খুনের কথা। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় দেহ পাচারের ব্লুপ্রিন্ট দেখে সত্যিই চমকে উঠছে পুলিস।

.