রবীন্দ্র ভাবনায় নয়, বেহাল দশায় খোলা আকাশের নীচে চলছে কলেজ
শিলিগুড়ি মহিলা মহাবিদ্যালয়। এখানে ক্লাস হয় খোলা আকাশের নীচে। তবে সেটা, সেই শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্র ভাবনা দ্বারা অনুপ্রাণিত এমনটা নয়। গূঢ় কারণ অন্য। কলেজে পড়ুয়ারা সংখ্যা আঠারোশো।
নারায়ণ সিংহরায়: খোলা আকাশের নীচে ক্লাস। ক্লাসরুমের হাল বেহাল। যা আছে তাও অপর্যাপ্ত। বছর ছত্রিশ আগে কলেজ তৈরি হয়েছিল। তারপর আর তেমন মেরামতিও হয়নি। নতুন ক্লাস রুমও তৈরি হয়নি। কিন্তু পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়েছে বহুগুন। তাই বাধ্য হয়ে মাঠে ক্লাস করেন শিলিগুড়ি মহিলা মহা বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
খোলা মাঠে ক্লাস। মাস্টারমশাই শব্দরূপ জিজ্ঞাসা করলে অমলকান্তি অবাক হয়ে জানলার দিকে তাকিয়ে থাকত। মেঘলা আকাশকে ফাঁকি দিয়ে জাম আর জামরুলের পাতায় যে রোদ চুরি করে দেখা দেয়---সেই রোদের সঙ্গে যাঁরা আত্মীয়তা বোধ করে, তারা এখানে বড় খুশি হত।
আরও পড়ুন- পৌষমেলায় একাধিক বিধি পরিবেশ আদালতের, এখন থেকেই জমজমাট শান্তিনিকেতন
শিলিগুড়ি মহিলা মহাবিদ্যালয়। এখানে ক্লাস হয় খোলা আকাশের নীচে। তবে সেটা, সেই শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্র ভাবনা দ্বারা অনুপ্রাণিত এমনটা নয়। গূঢ় কারণ অন্য। কলেজে পড়ুয়ারা সংখ্যা আঠারোশো। কিন্তু ছয় সাতটি ক্লাস রুম ছাড়া বাকিগুলি ব্যবহারের যোগ্য নয়। কিন্তু ক্লাস তো চালাতে হবে। বাধ্য হয়ে খোলা মাঠে চলছে ক্লাস।
শীতকালটাতে না হয় কমলালেবু ছাড়ানো মিঠে রোদে মাঠে বসে ক্লাস ভালোই লাগে। কিন্তু গ্রীষ্ম, বর্ষায়-যখন ব্যবস্থা নেই তখন আর উপায় হবে কী করে অতএব খোলা মাঠই ভরসা। আর সঙ্গে রবীন্দ্র ভাবনায় শান্তনা খুঁজে পেতে ক্ষতি কী। কলেজের প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে, নতুন করে ক্লাস রুম তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন- সবং উপনির্বাচনে সন্ত্রাসের অভিযোগ বিরোধীদের, দাওয়ায় বসেই গড় সামলালেন মানস
কলেজের সবার আশা খুব শিগগিরিই ব্যবস্থা হবে। তবে এখন শীতের সময় রোদে লেখা পড়াতো তো বেশ ভালই লাগছে।