শীতের ব্যালকনিতেই বিবদমান স্বামী-স্ত্রীকে মেলালেন বিচারক!

তিন দিন পরিবারের থেকে আলাদাভাবে হোটেলে কাটাতে হবে স্বামী স্ত্রীকে। হোটেলের খরচা দেবেন বিচারক। ডিভোর্সের মামলার শুনানিতে বিবদমান দম্পতিকে  এমনই নির্দেশ দিয়েছেন সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারক পার্থ সারথি সেন। 

Updated By: Jan 17, 2018, 05:42 PM IST
শীতের ব্যালকনিতেই বিবদমান স্বামী-স্ত্রীকে মেলালেন বিচারক!

নিজস্ব প্রতিবেদন: তিন দিন পরিবারের থেকে আলাদাভাবে হোটেলে কাটাতে হবে স্বামী স্ত্রীকে। হোটেলের খরচা দেবেন বিচারক। বিবাহবিচ্ছেদের মামলার শুনানিতে বিবদমান দম্পতিকে  এমনই নির্দেশ দিয়েছেন সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারক পার্থসারথি সেন। 

আরও পড়ুন: বিয়ের ফটোগ্রাফারের প্রতারণা, ২ বছর পরও মিলল না ছবি

এমনভাবে এর আগে দেখা হয়নি। শীতের  ব্যালকনিতে, যেখানে  চতুর্দশীর চাঁদ আলো অন্ধকারে লুকোচুরি খেলে। ঠিক সেইখানটাতেই আবার নতুনভাবে দেখা হল, কথা হল আবার। 

না, কথা তো হয়নি বহুকাল। তবু মুখ ফুটে না বলা অনেক কথাই শুনেছে দু'জন। বহুদিন পর, সম্পর্কের যে সুতোটা বড় ঢিলে হয়ে গিয়েছিল, সেটা যেন খানিকটা টানটান। সম্পর্কের এই এক দোষ, বেশি টানলে ছিঁড়ে যায়, আবার ঢিলে দিলে বড় ঢিলে হয়ে যায়। বোধহয় এই তত্বকেই  মাথায় রেখেই বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় বিবদমান স্বামী স্ত্রীকে একসঙ্গে একান্তে তিন দিন কাটানোর নির্দেশ দিয়েছেন সিউড়ি জেলা আদালতের বিচারক পার্থসারথি সেন।

তুমি আমাকে বুঝলে না, এই অনুচ্চারিত শব্দের- ঝগড়া দেখেছিল আদালতের কাঠগড়া। গত বছরের মার্চে বিয়ে হয়েছিল। ক'দিনের সংসারেই ভাটার চোরা টান দেখেছিলেন নদিয়ার তেহট্টের অহনা দাস। বিয়ে হয়েছিল সিউড়ির গৌতম দাসের সঙ্গে। মাস কয়েক কাটতে না-কাটসেই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা হয়। বিচারকের নির্দেশে এখন স্বামীর সঙ্গে পুরীতে প্রমোদভ্রমণে।

আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেটের আবেদনকারীদের বিরাট সুযোগ দিল সংসদ, জেনে নিন কীভাবে পাবেন সুবিধা

শ্বশুর , শাশুড়ি,ভাসুরকে অভিযুক্ত করে অহনা। বধূ নির্যাতনের মামলা হয়। আইনের শক্ত লেখনি নয়, বিচারক মানবিক বোধেই দুই পক্ষকে মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্বামী গৌতম দাস অবশ্য বলেছিলেন, বেড়াতে গিয়ে হোটেল থাকার সামর্থ নেই তাঁর। বিচারক পার্থসারথি সেন, সেই ভার বহনের দায়িত্ব নিয়েছেন। একই সঙ্গে সিউড়ি থানার আই সি কে নির্দেশ দিয়েছেন, হোটেলে একত্রে নিভৃতে থাকার নির্দেশ যেন কঠোর ভাবে পালিত হয়। তাতেই হয়েছে কাজ,  হোটেলের বদ্ধ ঘরে তর্জন গর্জনের বদলে বহুদিন পর শোনা গিয়েছে হাসির শব্দ।

.