বিজেপির দেওয়া ৫ লক্ষ টাকার চেক ফিরিয়ে দিলেন কাঁকসার নিহত দলীয় কর্মীর বাবা-মা, দিদি
বিজেপির কাছ থেকে চেক নিতে অস্বীকার করল দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত বিজেপি কর্মী সন্দীপ ঘোষের পরিবার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির কাছ থেকে চেক নিতে অস্বীকার করল দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত বিজেপি কর্মী সন্দীপ ঘোষের পরিবার। সোমবার বাবুল সুপ্রিয়, মুকুল রায় ও অন্যান্য বিজেপি নেতারা কাঁকসা নিহত বিজেপি কর্মী সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে যান। পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। কিন্তু নিহত সন্দীপ ঘোষের বাবা বিজয় ঘোষ তা ফিরিয়ে দেন। তাঁর আফসোস, “ছেলে তো আর ফিরে আসবে না, টাকা দিয়ে কী করব!” চেক নিতে অস্বীকার করেন সন্দীপে মা ও দিদিও।
যদিও এর পিছনেও রাজনীতি দেখছে বিজেপি। এপ্রসঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপি সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, “তৃণমূল তাঁদের ২০ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দিয়েছে। আরও সুবিধা দেওয়ার কথা বলেছে। লাগাতার পুলিশ ও শাসকদলের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ওঁরা বিজেপির দেওয়া চেক ফিরিয়ে দিলেন।”
আরও পড়ুন: বুথ মিটিং সেরে ফেরার পথে হামলা, কাঁকসায় গুলিতে খুন বিজেপি কর্মী
জেলা তৃণমূল কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের বলেন, “বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে খুন হয়েছে সন্দীপ ঘোষ। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষের পরিবারের কাছে কোন আর্থিক সাহায্যের কথা বলা হয়নি। বিজেপির আর্থিক সাহায্য মৃতের পরিবার ফিরিয়ে দেওয়ায় মুখ রক্ষা করতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দোষারোপ করছে বিজেপি। ”
আরও পড়ুন: রথযাত্রার বদলে এবার রাজ্যজুড়ে পদযাত্রা, বিকল্প ভাবনা বঙ্গ বিজেপি ব্রিগেডের
মৃত সন্দীপ ঘোষের এক আত্মীয় বলেন, “আমরা টাকা চাই না। ছেলেটাকে চাই। দিতে পারবেন?” চাপের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মৃতের বাবা। তিনি বলেন “আমাদের উপর কারোর কোনও চাপ নেই। তৃণমূলের কোনও চাপ নেই। আমি কোনও রাজনীতি চাই না।”
আরও পড়ুন: বৈঠকে মিলল না অনুমতি, রথযাত্রা নিয়ে ফের বিজেপির মামলা হাইকোর্টে
প্রসঙ্গত, গত ১০ ডিসেম্বর দলীয় বৈঠক সেরে ফেরার পথে আক্রান্ত হন কাঁকসার বিজেপি কর্মী সন্দীপ। অভিযোগ, বাড়ির অদূরে সরস্বতীগঞ্জ মোড়ে দুষ্কৃতীরা লাঠি, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সন্দীপের ওপর হামলা চালায়। চালানো হয় এলেপাথাড়ি গুলি। একটি গুলি লাগে সন্দীপের মাথার পেছনে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এদিকে ওই ঘটনায় বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে চাপান উতোর শুরু হয়েছে। বিজেপির বক্তব্য, এলাকায় দলের উত্থান চায় না তৃণমূল। তাই ওই হামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দাবি করেছেন, ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগের কোনও সম্ভাবনাই নেই।