ভগবানের নয়, প্রবঞ্চকের মার, GST নিয়ে নির্মলাকে একহাত নিলেন অমিতের

অমিত মিত্রের অভিযোগ, আসলে কেন্দ্র চাইছে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে কেন্দ্রীয়করণের পথে হাঁটতে। জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের প্রস্তাব মানতে নারাজ বলে স্পষ্ট করে দেন অমিত মিত্র

Reported By: কমলিকা সেনগুপ্ত | Updated By: Aug 30, 2020, 05:27 PM IST
ভগবানের নয়, প্রবঞ্চকের মার, GST নিয়ে নির্মলাকে একহাত নিলেন অমিতের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন, ‘ভগবানের মার’। তার পাল্টা জবাবে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বললেন, ভগবান নয় প্রবঞ্চকের মার (act of fraud)। এই প্রবঞ্চক যে নরেন্দ্র মোদীর সরকারকেই উদ্দেশ করে অমিত মিত্র বলতে চেয়েছে, তা বলা বাহুল্য। জিএসটি নিয়ে রবিবারে অনলাইন সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রের একাধিক বিষয় নিয়ে সমালোচনায় মুখর হন। অমিত মিত্র এ দিন সাফ জানান, জিএসটির ক্ষতিপূরণ না মিটিয়ে যে ভাবে রাজ্যকে ধার করতে বলা হচ্ছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে পড়বে।

অমিত মিত্রের অভিযোগ, আসলে কেন্দ্র চাইছে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে কেন্দ্রীয়করণের পথে হাঁটতে। জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের প্রস্তাব মানতে নারাজ বলে স্পষ্ট করে দেন অমিত মিত্র। জিএসটি পরিষদে নির্মালা জানিয়েছিলেন, চলতি অর্থবর্ষে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি থাকা রাজ্যগুলির থেকে আয় কম হবে। এর মধ্যে সেস থেকে আয় রয়েছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। বাকি টাকা কেন্দ্রের পক্ষে মেটানো সম্ভব নয়, সেটা ঋণ নিতে পারে রাজ্য। অথবা জিএসটি চালুর জন্য ক্ষতি ৯৭ হাজার টাকাও ঋণ নিতে পারে। কেন্দ্রকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে কোভিড। আর কোভিড ‘ভগবানের মার’। এভাবেই এ দিন ব্যাখ্যা করেছিলেন নির্মলা সীতারামন।

আরও পড়ুন- গণতন্ত্রকে গলা টিপে মেরে ফেলেছে একনায়কতন্ত্র! ছড়াচ্ছে হিংসার বিষ, তোপ সোনিয়ার

নির্মলার এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ প্রায় সব রাজ্যই। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিও কেন্দ্রের এই প্রস্তাবে বেঁকে বসেছে। সেটাকেই হাতিয়ার করে এগোতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন অমিত মিত্র বলেন, এ নিয়ে সব রাজ্যকে এগিয়ে আসতে হবে। অমিতের প্রশ্ন, ক্ষতিপূরণ এড়াতে অ্যাটর্নি জেনারেলের মতামত লিখিতভাবে কেন জানানো হলো না? তাহলে রাজ্য আইনি মতামত নিতে পারত। উল্লেখ্য, পঞ্জাব, কেরল এবং দিল্লির অর্থমন্ত্রীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রের এই প্রস্তাব তাঁরা মানছেন না। একই পথে হাঁটতে পারে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিও।

.