রোমেরোর হাতে ধরাশায়ী রবেনদের কমলা ঝড়, মারাদোনার স্মৃতির ফিরিয়ে ২৪ বছর পর ফাইনালে আর্জেন্টিনা
বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-জার্মানি। সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন মেসিরা। চব্বিশ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে নীল-সাদা ব্রিগেড।
বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-জার্মানি। সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেন মেসিরা। চব্বিশ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে নীল-সাদা ব্রিগেড।
দেশের স্বাধীনতা দিবসে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল আর্জেন্টিনা। ম্যাচটিকে লিওনেল মেসি-আর্জেন রবেন শো হিসাবে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু এদিন দুদলের দুই তারকাই ফ্লপ। প্রথম সেমিফাইনালে গোলের বণ্যা বয়ে গিয়েছিল। আর বুধবার রাতে ছিল গোলের খরা। সেই খরা চলল একশো কুড়ি মিনিট ধরে। অবশেষে টাইব্রেকারে ম্যাচের মীমাংসা হয়। পেনাল্টি শুটআউটে নেদারল্যান্ডসকে চার-দুই গোলে হারিয়ে ফাইনালে স্থান পাকা করল আর্জেন্টিনা। চব্বিশ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠল লাতিন আমেরিকার এই দেশটি। প্রথম থেকে ম্যাচটি দেখে মনে হচ্ছিল না যে এটা সেমিফাইনাল ম্যাচ। আক্রমণের কোনও ঝাঁঝই ছিল না দুদলের খেলায়।
প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার পক্ষে গোল করার সেরা সুযোগ এসেছিল ফ্রি-কিকের মাধ্যমে। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ হন মেসি। দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হয় দুদল। অতিরিক্ত সময় গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও তা হাতছাড়া করেন আর্জেন রবেন। তার কিছু পরেই ভ্যান পার্সিকে তুলে তৃতীয় পরিবর্ত হিসাবে হান্টেলারকে নামান কোচ লুই ভান গাল। যার ফলে পেনাল্টি শুটআউটে আগের ম্যাচের নায়ক টিম ক্রুলকে নামাতে পারেননি ডাচ কোচ। আর এখানেই জয়ের খোঁজে পিছিয়ে পড়ে নেদারল্যান্ডস। টাইব্রেকারে দুটি গোল বাঁচিয়ে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক হয়ে উঠলেন সার্জিও রোমেরো। রবিবার ফাইনালে রিওর মারাকানা স্টেডিয়ামে জার্মানির বিরুদ্ধে খেলবে আর্জেন্টিনা। এই নিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে তৃতীয়বার মুখোমুখি হবে এই দুই দল।