বৌদ্ধ-মুসলিম সংঘর্ষে শ্রীলঙ্কায় ১০ দিনের জরুরি অবস্থা

সোমবার ক্যান্ডিতে সংখ্যা লঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির দোকানে আগুন লাগানোর পর এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এরপরই সেখানে বিশাল পুলিস বাহিনী পাঠায় শ্রীলঙ্কা সরকার।

Updated By: Mar 6, 2018, 03:20 PM IST
বৌদ্ধ-মুসলিম সংঘর্ষে শ্রীলঙ্কায় ১০ দিনের জরুরি অবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদন: বৌদ্ধ-মুসলিম সংঘর্ষের জেরে ১০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা সরকার। মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কা সরকারের এক মুখপাত্র জরুরি অবস্থার কথা জানিয়েছেন। ভারত মহাসগর সংলগ্ন দ্বীপ এলাকার কেন্দ্রীয় জেলা ক্যান্ডিতে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের এক দিন পর এই জরুরি অবস্থা জারি করা হল।

শ্রীলঙ্কার সরকারি মুখপাত্র জয়শেখরকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, "সাম্প্র্রদায়িক হিংসায় লাগাম লাগাতে এবং দেশের অন্যন্য অংশকে হিংসার হাত থেকে রক্ষা করতে এক বিশেষ ক্যাবিনেট বৈঠকে ১০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।" পাশাপাশি, যারা ফেসবুকের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে হিংসা ছড়াচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে সরকারের তরফে।

সোমবার ক্যান্ডিতে সংখ্যা লঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির দোকানে আগুন লাগানোর পর এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এরপরই সেখানে বিশাল পুলিস বাহিনী পাঠায় শ্রীলঙ্কা সরকার।

আরও পড়ুন- মাঝ আকাশে পর্ন দেখে উত্তেজিত, বিমানসেবিকার সঙ্গে অসভ্যতা বাংলাদেশি যুবকের

বিগত কয়েক বছর ধরে সে দেশের বৌদ্ধদের জোর করে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ তুলছিল বেশ কয়েকটি রক্ষণশীল বৌদ্ধ সংগঠন। পাশাপাশি, শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন বৌদ্ধ মঠ ও স্তূপ ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে। এছাড়া, মায়ানমার ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের শ্রীলঙ্কায় স্থান দেওয়া নিয়েও তীব্র আপত্তি জানিয়ে চলছে বৌদ্ধ সংগঠনগুলি।

আরও পড়ুন-  চিন থেকে নির্বাসিত অক্ষর 'এন'

এদিকে, এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে আজ দুই দেশের ম্যাচ রয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য সেই সূচিতে কোনও পরিবর্তন হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।

.