মাছের পেট থেকে বেরল প্ল্যাস্টিক বোতল, লাইটার, চিরুনি...
মত্সজীবী জানিয়েছেন, প্লাস্টিক তৈরি বিবিধ জিনিস থেকে কলকারখানার আবর্জনা সবই মিশছে সমুদ্রে। উত্তরোত্তর সমুদ্র দূষণ যে ভাবে বাড়ছে, তাতে সামুদ্রিক প্রাণীরা এভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
![মাছের পেট থেকে বেরল প্ল্যাস্টিক বোতল, লাইটার, চিরুনি... মাছের পেট থেকে বেরল প্ল্যাস্টিক বোতল, লাইটার, চিরুনি...](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2018/01/22/106468-mahimahifish.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: ছাগলের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সাধারণের যতই তাচ্ছিল্য থাকুক, এ বিষয়ে এখন মাছও খুব একটা পিছিয়ে নেই! প্ল্যাস্টিক বোতল, লাইটার, চিরুনি আরও কত কী... হ্যাঁ, বাঙলা প্রবচনটি এই ভাবেই পাল্টে যাবে যদি আপনি এই খাদ্য তালিকায় চোখ বোলান! সম্প্রতি একটি মাছের পেটে কেটে এমন সৃষ্টি ছাড়া দৃশ্যই দেখেন কোস্টা রিকার এক মত্সজীবী। ডলফিন প্রজাতির মাছ মাহি মাহি-র পেটে কেটে মিলেছে এমনই সব অদ্ভূত জিনিস। তবে, মত্সজীবী মোটেই অবাক হননি। কেন?
আরও পড়ুন- পাক কারাগারে মৃত্যু মুখে লাদেন হত্যার কারিগর
মত্সজীবী জানিয়েছেন, প্লাস্টিক তৈরি বিবিধ জিনিস থেকে কলকারখানার আবর্জনা সবই মিশছে সমুদ্রে। উত্তরোত্তর সমুদ্র দূষণ যে ভাবে বাড়ছে, তাতে সামুদ্রিক প্রাণীরা এভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সমুদ্র বিজ্ঞানী এরিক রস বলেন, “সমুদ্রে প্লাস্টিকের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায়, সামুদ্রিক মাছরাও খাওয়ার সময় বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। এরপর এগুলো পেটের মধ্যে ঢুকলেই খাদ্যনালীতে আটকে যায়। যারফলে মৃত্যু ঘটে তাদের।”
আরও পড়ুন- নিশ্চিন্তে থাকুন, ৪ ফেব্রুয়ারি পৃথিবী ধ্বংস হচ্ছে না
কোস্টা রিকার এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসনও। সমুদ্রে প্লাস্টিক মুক্ত করতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালে মোট জনসংখ্যার সাড়ে ১০ লক্ষ টন প্ল্যাস্টিক উত্পাদন হত। জনসংখ্যার নিরিখে এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০.২০ কোটি টন। ২০৩২ সালে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে অনুমান করছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন- ঝুঁকলেই স্তনযুগল দেখা যায়, তাই সটান চিঠি সরকারকে!