ইমরানের গুরু লালুপ্রসাদ যাদব, নয়া প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা বিরোধীদের
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান রবিবার তাঁর প্রথম ভাষণ দেন। আর তার পরেই আস্তিন গোটাতে শুরু করেছে বিরোধীরা
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম ভাষণেই দেশের একাধিক সমস্যার কথা তুলে ধরলেন ইমরান খান। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, বিরোধীদের হই হট্টগোলে মেজাজও হারালেন ইমরান খান।
রবিবার তাঁর প্রথম ভাষণে দেশের মাথায় থাকা বিপুল পরিমাণ ঋণ, সরকারি খরচের বহর, দুর্নীতি নিয়ে তোপ দেগেছেন ইমরান খান। ইমরান তাঁর ভাষণে বলেন, দেশের মানুষের মাথার ওপরে ২৮ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণের বোঝা রয়েছে। সেই ঋণের টাকার সুদ মেটাতে ফের ঋণ করতে হচ্ছে। কিন্তু ওই বিপুল ঋণের টাকা নিয়ে দেশের কী উন্নয়ণ হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। দেশের টাকা যারা বিদেশের ব্যাঙ্কে জমা রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ইমরান জানান।
আরও পড়ুন-কেরলের পাশে পশ্চিমবঙ্গ, ১০ কোটি টাকা ত্রাণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতার
দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন নয়া প্রধানমন্ত্রী। পরিসংখ্যান উল্লেখ করে ইমরান বলেন, অপরিশুদ্ধ জলের জন্য শিশু মৃত্যুর হার বেশি এমন ৫টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানের স্থান ওপরের দিকে। প্রবসকালীন সময়ে মায়েদের মৃত্যুর হারও খুবই বেশি পাকিস্তানে। এ জিনিস রুখতে না পারলে দেশ রক্ষা হবে না। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ কমানোর চেষ্টাও হবে বলে জানিয়ে দেন ইমরান খান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্য যে বিশাল বাংলো রয়েছে সেখানে তিনি থাকবেন না। তার পরিবর্তে তিনি থাকবেন মিলিটারি সেক্রেটারির আবাসনে। শুধু তাই নয় ভিআইপিদের জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়িও বিক্রি করে দেওয়া হবে।
এদিকে, ইমরানের ভাষণকে কড়া ভাষায় নিশানা করেছেন পাকিস্তান পিপিলস পার্টির নেতা সৈয়দ খুরশেদ শাহ। তিনি বলেন, ‘নয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীসুলভ নয়। তাঁর বক্তব্য ভারতের নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের মতো। দেখে মনে হয় লালুপ্রসাদই ইমরানের রাজনৈতিক গুরু। ’ রবিবার পাকিস্তানের সংসদে বক্তব্য রাখার সময়ে প্রবল হইহট্টগোল করেন বিরোধীরা। তারা ধরনাতেও বসে পড়েন। বিরোধীদের আচরণে মেজাজ হারান ইমরান খান। এনিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন খুরশেদ শাহ। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এরকম দায়িত্বজ্ঞাহীন আচরণ কাম্য নয়। এই যদি নয়া পাকিস্তান হয় তাহলে দেশকে রক্ষা করুন ওপরওয়ালা।’
আরও পড়ুন-কলকাতায় স্পিড লিমিট ভাঙলে এবার যেতে হতে পারে জেলে
উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত পাক সাধারণ নির্বাচনে ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি পেয়েছে ১১৬ আসন। অন্যান্য দল তার ধারেকাছে নেই। শুক্রবার তিনি শপথও নিয়ে নিয়েছেন ইমরান। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি রবিবার তাঁর প্রথম ভাষণ দেন। আর তাতেই আস্তিন গোটাতে শুরু করেছে বিরোধীরা।