নব্বই মিনিটে রমনির কাছে পরাজিত ওবামা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে টেলিভিশন বিতর্কে বারাক ওবামাকে হারালেন মিট রমনি। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিতর্কে হারিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন ম্যাসাচুসেটসের গভর্নর। পাশপাশি নতুনভাবে গতি পেয়েছে রিপাবলিকানদের ঝিমিয়ে পড়া প্রচার পর্ব। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ধারা বজায় রাখতে পারলে মিট রমনির পক্ষে হোয়াইট হাউসে পৌঁছনোও অস্বাভাবিক হবে না।

Updated By: Oct 4, 2012, 08:05 PM IST

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে টেলিভিশন বিতর্কে বারাক ওবামাকে হারালেন মিট রমনি। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বিতর্কে হারিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন ম্যাসাচুসেটসের গভর্নর। পাশপাশি নতুনভাবে গতি পেয়েছে রিপাবলিকানদের ঝিমিয়ে পড়া প্রচার পর্ব। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ধারা বজায় রাখতে পারলে মিট রমনির পক্ষে হোয়াইট হাউসে পৌঁছনোও অস্বাভাবিক হবে না। ভোটের দিন যত এগোচ্ছে ততই উত্তাপ বাড়ছে মার্কিন মুলুকে। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছিল রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনির থেকে সামান্য এগিয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বারাক ওবামা। কিন্তু টেলিভিশন বিতর্কে সেই হিসেব নিকেশ পাল্টে দিলেন রমনি।
নব্বই মিনিটের বিতর্কে  আগাগোড়াই অনেক বেশি সপ্রতিভ ছিলেন ম্যাসাচুসেটসের গভর্নর। যেখানে অনেক ক্ষেত্রেই ইতস্তত বোধ করতে দেখা গেছে প্রেসিডেন্ট ওবামাকে। গত কয়েক মাসের চাঁছাছোলা প্রচারের পরে এই প্রথম পাশপাশি দাঁড়িয়ে যুযুধান দুপক্ষ। বিতর্কে মূলত কর, আর্থিক ঘাটতি এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়েই নিজের নিজের বক্তব্য রাখেন তাঁরা। চেষ্টা করেন প্রতিপক্ষকে বেকায়দায় ফেলার। ওবামার বিরুদ্ধে আর্থিক বিকাশের হার এবং বেকারি সমস্যাকেই পাখির চোখ করেছিলেন রমনি। তিনি বলেন `` আমরা যে পথে চলছি তা অসফল প্রমাণিত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট এখন যা যা বলছেন, চার বছর আগেও সেই একই কথা বলেছিলেন। আরও বড় সরকার, আরও খরচ, আরও কর, আরও নিয়ন্ত্রণ। যেগুলির অর্থ সরকারের নিম্নমুখী গতি। কিন্তু আমেরিকার জন্য তা সঠিক উত্তর নয়।`` জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন `` জর্জ ডব্লু বুশের জমানায় গত পঞ্চাশ বছরের মধ্যে সবথেকে কমে যায় আমাদের আর্থিক বিকাশের হার। আমরা উদ্বৃত্ত থেকে ঘাটতিতে এসে দাঁড়াই। পরিণাম আর্থিক মন্দা। আমি এখন যা বলছি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও সেই উদ্যোগই নিয়েছিলেন। আমরা দুকোটি তিরিশ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। অর্থনীতিকে আমরা ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্ত স্তরে নিয়ে গেছি। দেশে বাণিজ্যও ভাল হয়েছে। মধ্যবিত্ত পরিবার যখন কর ছাড়া পাবে তখনই দেশের অর্থনীতির আরও বিকাশ হবে। ``
নব্বই মিনিটের বিতর্কে রমনির বক্তব্য অনেক বেশি আকর্ষণীয় ছিল। যেখানে কর ছাড় নিয়ে রমনিকে আক্রমণেই বেশি জোর দেন ওবামা।  বিতর্কের পর বেশ কয়েকটি সংস্থার অনলাইন ভোট হয়। সবকটি ক্ষেত্রেই ছেচল্লিশ থেকে সাতষট্টি শতাংশ মার্জিন রয়েছে রিপাবলিকান প্রার্থী রমনির। আর বারাক ওবামার পক্ষে গেছে বাইশ থেকে পঁচিশ শতাংশ ভোট। এই টেলিভিশন বিতর্কে রমনির জয় নিশ্চিতভাবেই রিপালিকানদের প্রচারে গতি আনবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

.