পাক প্রধানমন্ত্রীকে শো কজ করল সুপ্রিম কোর্ট

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জরদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চালু করা এবং এ বিষয়ে সুইজারল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখার বিচারবিভাগীয় নির্দেশ পালনে ব্যর্থতার জন্য বুধবার প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিল পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্ট।

Updated By: Aug 8, 2012, 08:22 PM IST

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জরদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চালু করা এবং এ বিষয়ে সুইজারল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখার বিচারবিভাগীয় নির্দেশ পালনে ব্যর্থতার জন্য বুধবার প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিল পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্ট। আর সেই সঙ্গেই ইউসুফ রাজা গিলানীর উত্তরসূরির ক্ষমতায় টিকে থাকা নিয়ে তৈরি হল নতুন সংশয়। কারণ, একই ব্যর্থতার দায়ে আদালত অবমাননার অভিযোগে এর আগে ইউসুফ রাজা গিলানির প্রধানমন্ত্রীত্ব বাতিল করেছিল সে দেশের শীর্ষ আদালত।
এদিন পাক সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সংবিধানর ২০৪ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত আদালত অবমাননা আইন-২০০৩ মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী আশরাফের বিরুদ্ধে শো কজ নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। কেন তিনি আদালত অবমাননার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছেন না এবং আদালতের এ সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছেন না?- তা জানতে চেয়ে এই নোটিশ। শুধু তাই নয়, পূর্বসূরি গিলানির মতোই আগামী শুনানির দিনে প্রধানমন্ত্রী পারভেজ আশরাফকেও সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে বলে সাফ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ২৭ আগস্ট পর্যন্ত এই মামলার শুনানি স্থগিত করেছে বিচারপতি মহম্মদ খোশার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।

চলিত বছরের জুন মাসে সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল পাকিস্তানের তত্‍কালীন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে। মূলত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ জরদারির বিরুদ্ধে থাকা আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলাগুলি ফের চালু না করাতেই এই শাস্তি পেতে হয়ছিল গিলানিকে। নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজা পরভেজ আশরফকেও যাতে একই সমস্যায় পড়তে না হয় তাই তড়িঘড়ি নতুন আইন আনা হয়েছিল।
কিন্তু গত সপ্তাহে পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইফতিকার চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বেঞ্চ সরকারের আনা নতুন আদালত অবমাননা আইনকে অসাংবিধানিক বলে খারিজ করে দেয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এখনও জরদারির বিরুদ্ধে মামলা চালু করেননি প্রধানমন্ত্রী আশরফ পারভেজ। নতুন আইন খারিজ হয়ে যাওয়ার ফলে এবার তাঁরও গদি হারানোর সম্ভাবনা প্রবল হল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

.