কান্না শুনবে কে, পাশের বাড়িতেও তো ধর্ষণ চলছে...পর্ব এক

মিলিটারি যে কী ওই বয়সেই বুঝে গিয়েছিল বছর তেরোর নাবালিকা। গতবছর তার বাবাকে খুন করে মায়নমার সেনা। অগস্টে একদিন ১০ জন সেনা তাদের ঘরে হানা দেয়।

Updated By: Dec 11, 2017, 09:35 PM IST
কান্না শুনবে কে, পাশের বাড়িতেও তো ধর্ষণ চলছে...পর্ব এক
ছবি- পিটিআই

সংবাদ সংস্থা: ধর্ষণ। ধর্ষণ। ধর্ষণ। আরও কয়েক হাজার বার এই শব্দটি লিখলেও উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের জীবনে এই শব্দের অভিঘাত ঠিক বর্ণনা করা
যাবে না। আট থেকে আশি যে কোনও বয়সের নারী ধর্ষিতা হয়েছেন। এক বার নন একাধিকবার ধর্ষিতা হয়েছেন। এমন নির্মম, বর্বরোচিত কাহিনি প্রায় প্রতিটা নারী শরীরকে এক সরলরেখায় স্পর্শ করেছে। শুধু স্থান-কাল-পাত্র বদলেছে, এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁরা। বাংলাদেশে শরণার্থী হিসাবে আসা ওই সব মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছে সংবাদ সংস্থা এপি। আর তাতেই তাঁদের জীবনের যে টুকরো ছবি উঠে এসেছে তা থেকে বোঝা যায় জীবনকে টুকরো করার জন্য সেটা যথেষ্ট। বয়স নির্বিশেষে মহিলারা জানিয়েছেন সে কথাই।

আরও পড়ুন- এলিয়েন কি সত্যিই রয়েছে? নাসার ঘোষণা্ ঘিরে জল্পনা

বয়স তার তেরো-

মিলিটারি যে কী ওই বয়সেই বুঝে গিয়েছিল বছর তেরোর নাবালিকা। গতবছর তার বাবাকে খুন করে মায়নমার সেনা। অগস্টে একদিন ১০ জন সেনা তাদের ঘরে হানা দেয়। নাবালিকার দুই ভাইকে হিড় হিড় করে বাইরে টেনে নিয়ে এসে গাছে বেঁধে দেওয়া হয়। তারপর তাদের উপর চলে অকথ্য অত্যাচার। ওই নাবালিকা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সেনাদের হাতে ধরে পড়ে যায়। গাছে তারও দুই হাত বেঁধে দেওয়া হয়। কানের দুল, হাতের চুড়ি সব ছিনিয়ে নেয় সেনা। জামা খুলে দেয়। চিত্কার করে নাবালিকা। সেনারা তার শরীর থুতু দিয়ে নোংরা করে। এরপর  একজন সেনা তাকে ধর্ষণ করে। তারপর একে একে বাকি ন'জন। যন্ত্রণা, চিত্কার। কিন্তু কান্না কোন কানে ঢুকবে! পাশের বাড়িতেও তো এমনই এক ধর্ষণ চলছে!

আরও পড়ুন- দাবানলে ঝাঁপিয়ে পড়ে খরগোশের প্রাণ বাঁচালেন যুবক, দেখুন ভিডিও

ওই নাবালিকার দাদা কোনও রকমে সীমান্তে নিয়ে এসে বাংলাদেশে পার করে দেয় তাকে। সেদিন ওই নাবালিকা শরীর বর্বর সেনাদের 'খিদে মিটিয়েছিল', আজ নিজের পেটের খিদে মেটাতে শুধু ওই শরীরটাকে নিয়েই কোনও মতে বাঁচার চেষ্টায় উদ্বাস্তু প্রাণ...

চলবে... 

.