বদ্ধ ঘরে স্ক্রিপালের পোষ্যর মৃত্যু, বিপাকে ব্রিটেন
ব্রিটেনের পুলিস জানিয়েছে, জল না পেয়ে গিনিপিগ দুটি মারা গিয়েছে। উদ্ধার হওয়া কালো রংয়ের বিড়ালটির অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় মেরে ফেলা হয়। যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতেই বিড়ালটিকে মারা হয়েছে বলে দাবি ব্রিটেনের পুলিসের। তবে, পশু নিরাপত্তা প্রশ্নে কাঠগড়ায় টেরেসা মে-র প্রশাসন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: স্ক্রিপাল বির্তকে নয়া মোড়। প্রাক্তন রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপালের ব্রিটেনের সালিসবারির বাসভবন থেকে উদ্ধার হল দুটি মৃত গিনিপিগ এবং একটি মৃতপ্রায় বিড়াল। ব্রিটেনের পুলিস জানিয়েছে, জল না পেয়ে গিনিপিগ দুটি মারা গিয়েছে। উদ্ধার হওয়া কালো রংয়ের বিড়ালটির অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় মেরে ফেলা হয়। যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতেই বিড়ালটিকে মারা হয়েছে বলে দাবি ব্রিটেনের পুলিসের। তবে, পশু নিরাপত্তা প্রশ্নে কাঠগড়ায় টেরেসা মে-র প্রশাসন।
আরও পড়ুন- ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়তে চলেছেন অবসরপ্রাপ্ত প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ বিচারপতি
রাসায়নিক হামলার পর সের্গেই এবং তাঁর মেয়েকে উদ্ধার করে তাঁদের বাসভবন তালা দিয়ে দেয় ব্রিটেনের পুলিস। প্রশ্ন উঠছে, ঘরে আর কেউ আছে কিনা কেন ছানবিন করে দেখল না পুলিস? কূটনীতিক মহলের একাংশ মনে করছেন, স্ক্রিপালের বাড়িতে পোষ্য আছে এ খবর ব্রিটেনের পুলিসের কাছে রয়েছে। অভিযোগ, রাসায়নিক হামলার মতো আন্তর্জাতিক ঘটনায় পোষ্যদের নিরাপত্তা নিয়েও ভাবা উচিত ছিল ব্রিটেন প্রশাসনের।
আরও পড়ুন- ইজরায়েলি সেনার গুলিতে মৃত্যু ১৪ ফিলিস্তিনি, বাদ গেল না সাংবাদিকও
স্ক্রিপালের পোষ্যর মৃত্যুর পরই নয়া সূত্র খুঁজে পায় রাশিয়া। দাবি করে, এখানেই প্রমাণ হয় স্ক্রিপালদের রাসায়নিক হামলা করা হয়নি। ওই বাড়িতে পোষ্যরাও ছিল, তাদেরও ক্ষতি হতে পারতো। এ দিকে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে স্ক্রিপাল কাণ্ডের কড়া হুঁশিয়ারি দেয় রাশিয়া। পুতিনের দেশকে কোণঠাসা করতে বিশ্বজুড়ে রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হয়েছে। পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে রাশিয়াও। তবে পুতিনের হুমকি, আগুন নিয়ে খেলছে ব্রিটেন। পরে পস্তাতে হবে।
আরও পড়ুন- মালদ্বীপে ‘চিনা আগ্রাসনে’ উদ্বেগ প্রকাশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের, পাশ চাইছে ভারতকে