‘ছোটো মানুষ, দূরদৃষ্টতার অভাব রয়েছে’ মোদী সরকারকে কটাক্ষ ইমরানের
বৈঠক বাতিলের তীব্র সমালোচনা করেন পাক বিদেশমন্ত্রী কুরেশি-ও। তিনি বলেন, শান্তি প্রক্রিয়ায় আরও একবার সুযোগ হাতছাড়া হল ভারতের। ভারতের অভ্যন্তরীণ চাপেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতের সঙ্গে বৈঠক বাতিলে এ বার পথে নামলেন খোদ পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতের যাঁরা এই বৈঠক বাতিলের নেপথ্যে, তাঁদেরকে ‘ছোটো মানুষ’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। ইমরান বলেন, ‘ছোটো মানুষ। তাই দূরদৃষ্টির অভাব।’ রাষ্ট্রসঙ্ঘে সাধারণ সভার ফাঁকে ভারত এবং পাকিস্তানের দুই বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এই বৈঠকে সম্মতি ছিল ভারতের। কিন্তু হঠাত্ বৈঠক বাতিল করে কেন্দ্র জানায়, ইমরানের মুখোশ খুলে গিয়েছে। পাকিস্তান কোনওদিন শোধরাবে না।
আরও পড়ুন- বুরহান স্বাধীনতা সংগ্রামী, জঙ্গি নেতার স্মৃতিতে ডাকটিকিট প্রকাশ করল পাকিস্তান
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ৩ ভারতীয় জওয়ানকে নৃশংস হত্যা করে জঙ্গিরা। পাশাপাশি জানা যায়, বুরহান ওয়ানির ডাক টিকিট প্রকাশ করছে পাকিস্তান। কেন্দ্রের তরফে অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কাশ্মীরে জঙ্গিদের ‘গৌরবান্বিত’ করছে পাকিস্তান। এই কারণে আলোচনার পথে আর হাঁটতে চাইছে না মোদী সরকার। তা না হলে আগামী সপ্তাহেই ভারত-পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং শাহ মেহমুদ কুরেশির বৈঠক কার্যত পাকা ছিল।
বৈঠক বাতিলের তীব্র সমালোচনা করেন পাক বিদেশমন্ত্রী কুরেশি-ও। তিনি বলেন, শান্তি প্রক্রিয়ায় আরও একবার সুযোগ হাতছাড়া হল ভারতের। ভারতের অভ্যন্তরীণ চাপেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এমনকি তাঁর কটাক্ষ, সে দেশের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করেছে বিজেপি সরকার। ইমরান খান আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, এই বৈঠক বাতিল যাঁরা করেছে আসলে তাঁরা ছোটো মানুষ। দূরদৃষ্টতার অভাব রয়েছে। আমার সারা জীবনে দেখেছি এই সব মানুষেরা ক্ষমতার অলিন্দে জায়গা জুড়ে থাকে, যাদের বড় করে দেখার সেই চোখ নেই।
আরও পড়ুন- বৈঠক বাতিল করে শান্তি প্রক্রিয়ার সুযোগ হারাল ভারত, হুঁশিয়ারি পাক বিদেশমন্ত্রী কুরেশির
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, কাশ্মীরে একের পর এক জওয়ানের নৃশংস হত্যা চলছে। কাশ্মীর ইস্যুতে বাড়তি চাপে মোদী সরকার। এই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা দেশবাসীর কাছে নেতিবাচক বার্তা যাবে বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতি করতে নরেন্দ্র মোদী অত্যুত্সাহী হয়েছিলেন। এরপর পাঠানকোটের মতো ঘটনার মাসুল গুনতে হয় দেশকে। তাই অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই অত্যন্ত সন্তর্পনেই পা ফেলতে চাইছে নয়া দিল্লি। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।