বর্ধমানকাণ্ডের পরও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের, জেলায় জেলায় ঘুরে ভয়ঙ্কর রিপোর্ট ২৪ ঘণ্টার

Updated By: Oct 28, 2014, 10:56 AM IST
বর্ধমানকাণ্ডের পরও হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের, জেলায় জেলায় ঘুরে ভয়ঙ্কর রিপোর্ট ২৪ ঘণ্টার

এরাজ্যে জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত প্রমাণ করে দিয়েছে বর্ধমানকাণ্ড। কিন্তু তারপরও কি হুঁশ ফিরেছে প্রশাসনের? কতটা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা? অন্য জেলাগুলিতে নিরাপত্তার ছবিটা ঠিক কেমন? জবাব খুঁজতে আমরা পৌছে গিয়েছিলাম কোচবিহার। সেখানে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর কিছু তথ্য।    

শুধু ভাড়া থাকাই নয়, বেআইনি পথে রীতিমতো ড্রাইভিং লাইসেন্সও হাত করে নিয়েছেন এদের অনেকে। সম্প্রতি বানেশ্বরের খোলটা গ্রামে সন্দেহের বশে কয়েকজনকে আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা। প্রথমে তাঁদের দাবি ছিল, হুগলির বাসিন্দা তাঁরা। কিন্তু দেখা যায় পরিচয় ভুয়ো। আসলে তাঁরা বাংলাদেশী। পরে পুলিস গিয়ে তাঁদের গ্রেফতার করে। কিছুদিন আগে এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক কিশোরী আচমকা নিখোঁজ হয়ে যান। এখনও কোনও হদিশ নেই তাঁর। পরিবারের সন্দেহ, এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে থাকা বহিরাগতদের হাত নেই তো  এর পিছনে?

সীমান্তবর্তী জেলা কোচবিহারের বড় অংশে নেই কাঁটাতার। বহুবার অভিযোগ উঠেছে, অসম লাগোয়া এই জেলাকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করে জঙ্গিরা। বর্ধমানকাণ্ডের অন্যতম পাণ্ডা গ্রেফতার হয়েছে অসমের বড়পেটায়।  তদন্তে উঠে এসেছে, কোচবিহার দিয়েই পালিয়েছিল সে। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বারুদের স্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে কোচবিহারও? একটি নিছক দুর্ঘটনা সামনে এনে দিয়েছে বর্ধমানকাণ্ডকে। বেরিয়ে পড়েছে একের পর এক জেলায় অসংখ্য জঙ্গি মডিউলের অস্তিত্ব। কোচবিহারের বেশ কিছু এলাকা নিয়েও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, হুঁশ ফেরেনি পুলিস-প্রশাসনের।

 

.