ফের মমতা-গুরুং সংঘাত, গুরুংয়ের পৃথক রাজ্যের দাবির জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, 'পাহাড় ভাঙবে না'
সংঘাত চলছিলই। মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফর চলাকালীন আরও গভীর হল, মোর্চা-রাজ্য সরকারের ফাটল। তীব্র হল সংঘাত। পৃথক রাজ্যের দাবি উঠল প্রকাশ্যে। মুখ্যমন্ত্রীরও স্পষ্ট কথা, পাহাড় ভাঙবে না।
ওয়েব ডেস্ক: সংঘাত চলছিলই। মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফর চলাকালীন আরও গভীর হল, মোর্চা-রাজ্য সরকারের ফাটল। তীব্র হল সংঘাত। পৃথক রাজ্যের দাবি উঠল প্রকাশ্যে। মুখ্যমন্ত্রীরও স্পষ্ট কথা, পাহাড় ভাঙবে না।
মমতা-গুরুং ফাটল
ফের গর্জন। চোখরাঙানি। গোর্খাল্যাণ্ডের দাবি। মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে। এই সময়েই ফের পাহাড়ে সভা করে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলেছে মোর্চা। তার জবাবও এসেছে সঙ্গে সঙ্গেই।
সংঘাতের পরিবেশ যে তৈরি হচ্ছে, বোঝা গিয়েছিল গত সপ্তাহেই। জিটিএ-র কাজে হস্তক্ষেপ সহ একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে মোর্চা ঘোষণা করে, বিধায়কপদে ইস্তফা দেবেন তাঁদের তিন বিধায়ক, কার্শিয়াংয়ের রোহিত শর্মা। কালিম্পংয়ের হরকা বাহাদুর ছেত্রী, এবং দার্জিলিংয়ের ত্রিলোক দিওয়ান।
তবে শুধু ইস্তফাতেই যে থেমে থাকবে না মোর্চা, একথাই প্রমাণ করে দিলেন বিমল গুরুং।
গতমাসে মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরকালে, নিজের পূর্বনির্ধারিত সফর বাতিল করে পাহাড়েই থেকে যান মোর্চা সুপ্রিমো। এবারও মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে। বিমল গুরুং সহ মোর্চার শীর্ষ নেতারাও। তবু মুখোমুখি হচ্ছে না দুপক্ষ।
.............................
এবারই অবশ্য প্রথম নয়, গোর্খাল্যাণ্ডের দাবি এর আগেও উঠেছে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে।
জানুয়ারি, ২০১৩
............
পাহাড়ে সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড দেখানো হয়। দাবি, গোর্খাল্যান্ডের।
এবারও কি তাহলে রাফ অ্যান্ড টাফ ভূমিকাতেই দেখা যাবে প্রশাসনকে? নাকি ভোট-সমীকরণ বদলে দেবে সবকিছু? আগামি বছর বিধানসভা ভোট। মোর্চাকে সঙ্গে রাখা শাসক দলের কাছে চ্যালেঞ্জ। কার্যসিদ্ধি করতে কোন কৌশল নেয় সরকার, সেটাই দেখার।