দলীয় সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পার্থ, উত্তপ্ত খয়রাশোল

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মাশুল দিলেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি অশোক ঘোষ। সোমবার ভীমগড় স্টেশনের কাছে দুষ্কৃতীরা গুলি খুন করে অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা অশোক ঘোষকে। কিন্তু সিপিআইএমকেই দোষারোপ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল।

Updated By: Aug 13, 2013, 09:39 AM IST

আহত তৃণমূল নেতাকে দেখতে সিউড়ি হাসপাতালে গিয়ে দলেরই কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বীরভূমের খয়রাশোলে গতকাল খুন হন তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি অশোক ঘোষ। তাঁর সঙ্গে থাকা আরেক তৃণমূল নেতাও আক্রান্ত হন। গুরুতর আহত ওই নেতাকে দেখতে আজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। যান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। সেখানে তাঁদের ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। দলীয় নেতা খুনের তদন্ত এবং দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাতে থাকেন কর্মী-সমর্থকরা। অশোক ঘোষ হত্যাকাণ্ডে আজও উত্তপ্ত খয়রাশোল। এলাকায় দফায় দফায় চলেছে বিক্ষোভ। তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন লাগানো হয়েছে কয়েকটি পার্টি অফিসেও।
যদিও দলীয় সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ার কথা অস্বীকার করেন শিল্পমন্ত্রী।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মাশুল দিতে হয় বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি অশোক ঘোষ। সোমবার ভীমগড় স্টেশনের কাছে দুষ্কৃতীরা গুলি খুন করে অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা অশোক ঘোষকে। কিন্তু সিপিআইএমকেই দোষারোপ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন বীরভূম জেলার তৃণমূলের সহ-সভাপতি অশোক ঘোষ। তিনি দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরোধী শিবিরের নেতা বলে পরিচিত। সোমবার বিকেল চারটে নাগাদ এক সহকর্মীর সঙ্গে খয়ারশোল থেকে ভীমগড় স্টেশনে ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন তিনি। সে সময় তিনটি মোটরবাইকে এসে পাঁচ জন দুষ্কৃতী অশোকবাবু ও তাঁর সঙ্গীকে ঘিরে ধরে। দুজনকে লক্ষ করেই গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান অশোকবাবু। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁর সঙ্গীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে মৃতদেহ আটকে ভীমগড় স্টেশনের কাছে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস।
 
স্থানীয়দের বাধায় প্রায় ছ ঘণ্টা পর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস। অনুব্রত মণ্ডলের অভিযোগ, এই খুনের পিছনে সিপিআইএমের হাত রয়েছে। অভিযোগ, এর আগে বড়োরা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় তিন জনকে। তারাও অশোক ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিল বলে জানা গেছে। পঞ্চায়েত ভোটে অনুব্রত মণ্ডলের তুলনায় বিরোধী অশোক ঘোষ  শিবির বেশি আসন পায়। তারপর থেকেই শত্রু বাড়ছিল অশোকবাবুর। এই খুনের পেছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, না অন্য কোনও কারণ আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।

.