রাজ্য জুড়ে এনসেফ্যালাইটিস আতঙ্ক, এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৫৫

মারাত্মক চেহারা নিয়েছে মারণজ্বর। রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত এনসেফ্যালাইটিসে মৃত্যু হয়েছে ১৫৫ জনের। শুধু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেই মারা গিয়েছেন ১০৫ জন। চিকিত্সকের অভাবে পরিষেবা অমিলের  অভিযোগ। স্বাস্থ্য দফতরের ছুটি বাতিলের নির্দেশে সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের বিভিন্ন বিভাগে কর্মীর আকাল। তালাবন্ধ রোগী সহায়তা কেন্দ্র। অধ্যক্ষ অনুপ রায়ের সাসপেন্ডের প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ দেখান চিকিত্সক, ছাত্রছাত্রীরা। মেডিক্যাল কলেজের দেওয়ালে লাগানো হয় পোস্টার।খিঁচুনি জ্বরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে একের পর এক মারা যাচ্ছেন রোগী। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে রোগীর পরিবারের মধ্যে। পরিষেবা নিয়ে রয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ।

Updated By: Aug 6, 2014, 06:20 PM IST
রাজ্য জুড়ে এনসেফ্যালাইটিস আতঙ্ক, এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৫৫

ব্যুরো রিপোর্ট: মারাত্মক চেহারা নিয়েছে মারণজ্বর। রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত এনসেফ্যালাইটিসে মৃত্যু হয়েছে ১৫৫ জনের। শুধু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেই মারা গিয়েছেন ১০৫ জন। চিকিত্সকের অভাবে পরিষেবা অমিলের  অভিযোগ। স্বাস্থ্য দফতরের ছুটি বাতিলের নির্দেশে সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের বিভিন্ন বিভাগে কর্মীর আকাল। তালাবন্ধ রোগী সহায়তা কেন্দ্র। অধ্যক্ষ অনুপ রায়ের সাসপেন্ডের প্রতিবাদে আজ বিক্ষোভ দেখান চিকিত্সক, ছাত্রছাত্রীরা। মেডিক্যাল কলেজের দেওয়ালে লাগানো হয় পোস্টার।খিঁচুনি জ্বরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে একের পর এক মারা যাচ্ছেন রোগী। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে রোগীর পরিবারের মধ্যে। পরিষেবা নিয়ে রয়েছে ব্যাপক ক্ষোভ।

উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই এনসেফ্যালাইটিসে বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুদের নিয়ে আতঙ্কিত অভিভাবকরা কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। টীকাকরণের জন্য নিয়ে আসছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে।

স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের বিভিন্ন বিভাগে বিপরীত ছবি। কলেজ চত্বরেই তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে রোগী পরিষেবা কেন্দ্র। গ্রাম থেকে আসা রোগীরা বুঝতে পারছেন না চিকিত্সার জন্য তাঁরা কোথায় যাবেন।

এদিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সুপার অনুপ রায়কে সাসপেন্ড করায় প্রতিবাদ প্রদর্শন করলেন মেডিক্যাল কলেজের চিকিত্সকেরা। বুধবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের দেওয়ালে পড়ে পোস্টার। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ছাত্রছাত্রীদের একই দাবি, অনুপ রায় কাজের মানুষ। তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে হবে সরকারকে।

অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে এবার চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ তুলল তৃণমূল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের মধ্যে গোপন আঁতাতের অভিযোগ তুলেছেন জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর সন্দীপ মাহাতো। একত্রিশ জুলাই জ্বর নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হন বানারহাটের বাসিন্দা উমেশ সিং। তিনি সম্পর্কে সন্দীপ মাহাতোর মামা। প্রথমে তাঁর ডেঙ্গুর রক্ত পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু, রক্তে জীবাণু মেলেনি। কিন্তু, এনসেফ্যালাইটিসের জন্য রক্ত বা সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড পরীক্ষা করা হয়নি বলে অভিযোগ। যখন উত্তরবঙ্গে খিঁচুনি জ্বর মারাত্মক চেহারা নিয়েছে, তখন কেন এই পরীক্ষা করা হয়নি তা নিয়ে অভিযোগ উঠছে। প্রবল  জ্বর নিয়ে আজ মারা যান উমেশ সিং। তাঁর ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা হয়, নিউমোনিয়ায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, এনসেফ্যালাইটিসেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠছে। যখন তথ্য গোপন এবং কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলে চার স্বাস্থ্যকর্তাকে সাসপেন্ড করেছে  রাজ্য, তখন ফের তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠল এক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা অবশ্য এই অভিযোগ নিয়ে কিছু বলতে চাননি।    

 

.