গ্রেটার কোচবিহারকে সমর্থন আর বিজেপিকে ভোট দেওয়ার শাস্তি জানেন?

গ্রেটার কোচবিহারকে সমর্থন আর বিজেপিকে ভোট। স্রেফ এই অপরাধেই এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমন গুরুতর অভিযোগে কোচবিহারের নাটাবাড়ি উত্তাল। যদিও অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ঘটনার প্রতিবাদে কাছারি মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।রবিবার নাটাবাড়ির এক নম্বর ব্লকে এক তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় গ্রেটার কোচবিহারের সমর্থক যমুনা রায়কে। তাঁর পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তৃণমূল বিরোধী পরিবারটিকে উচিত শিক্ষা দিতেই এই নৃশংস আচরণ । তাঁদের অভিযোগ, রবিবার ভোরে  বাড়ির বাইরে এলে স্থানীয় চারজন তৃণমূল সমর্থকের সঙ্গে মহিলার বচসা হয়। এরপরই ওই মহিলাকে ধরে হাত-পা বেঁধে, গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মহিলার চিত্‍কারে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় তৃণমূল বুথ সভাপতি রত্নেশ্বর রায়ের বাড়ির সামনে থেকে মহিলাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে  মহিলার মৃত্যু হয়।

Updated By: Dec 19, 2016, 07:02 PM IST
গ্রেটার কোচবিহারকে সমর্থন আর বিজেপিকে ভোট দেওয়ার শাস্তি জানেন?

ওয়েব ডেস্ক: গ্রেটার কোচবিহারকে সমর্থন আর বিজেপিকে ভোট। স্রেফ এই অপরাধেই এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমন গুরুতর অভিযোগে কোচবিহারের নাটাবাড়ি উত্তাল। যদিও অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ঘটনার প্রতিবাদে কাছারি মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।রবিবার নাটাবাড়ির এক নম্বর ব্লকে এক তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয় গ্রেটার কোচবিহারের সমর্থক যমুনা রায়কে। তাঁর পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তৃণমূল বিরোধী পরিবারটিকে উচিত শিক্ষা দিতেই এই নৃশংস আচরণ । তাঁদের অভিযোগ, রবিবার ভোরে  বাড়ির বাইরে এলে স্থানীয় চারজন তৃণমূল সমর্থকের সঙ্গে মহিলার বচসা হয়। এরপরই ওই মহিলাকে ধরে হাত-পা বেঁধে, গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মহিলার চিত্‍কারে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় তৃণমূল বুথ সভাপতি রত্নেশ্বর রায়ের বাড়ির সামনে থেকে মহিলাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে  মহিলার মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন বীরেন্দ্র সেহবাগের পর টেস্টে ৩০০ করলেন করুন নায়ার

পরিবর্তনের পর ,শাসকদলের বিরুদ্ধে এত বড় অভিযোগ শোনেনি এ রাজ্য।  অন্য রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করায় জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ! যদিও  অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন রাজ্যর মন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক রবীন্দ্রানাথ ঘোষ। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অত্যাচার দীর্ঘদিন চলেই চলছে। গ্রেটার কোচবিহারের সমর্থক হওয়ায় যামুনা রায়ের পরিবার এবার বিজেপিকে ভোট দেয়। ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই তাই পরিবারটিকে একঘরে করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়। শেষমেষ জরিমানা দিয়ে  ধান কাটার অনুমতি মেলে। অবস্থা এমন হয়, সরকারি প্রকল্পে শৌচাগারও তৈরি করতে দেওয়া হয়নি যমুনা রায়ের বাড়িতে। কার্যত আর্থিক অবরোধের মুখে পড়ে পরিবারটি। এরমধ্যেই মেয়ের বিয়ের জন্য একটি জমি বিক্রির চেষ্টা। সে থেকে আবার নতুন বিবাদ। নাটাবাড়ির বিধায়ক অবশ্য মৃত্যুর পিছনে  এই অভাবকেই দায়ী করেছেন। রবিবার সকালে ঘটনা ঘটলেও, সন্ধে পর্যন্ত থানায় যেতে পারেনি পরিবারটি। পরে বিনয়কৃষ্ণ রায় সহ চারজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে তারা। মন্ত্রীর দাবি, পুলিস নাকি তাঁকে  খুনের আসল কারণ জানিয়েই দিয়েছে।ঠিক মত তদন্তই শুরু হল না। অথচ মন্ত্রী মশাই খুনের কারণ জেনে গেলেন !  মন্ত্রী যা জানলেন আর যা বললেন, পুলিস কী আসলে সেই পথেই তদন্ত করবে?

আরও পড়ুন  প্রধানমন্ত্রীকে কী বলে তুলোধনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ শুনেছেন?

.