আন্দোলনের দিশা দেখাল সাংগঠনিক প্রতিবেদন

তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার যে ভাবে চলছে তা সংসদীয় রাজনীতিতে ভয়ঙ্কর বিপদের সূচনা বলে মনে করছে সিপিআইএম। বুধবার থেকে শুরু হওয়া সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলনের সাংগঠনিক প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করা হয়েছে।

Updated By: Feb 15, 2012, 10:23 AM IST

তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার যে ভাবে চলছে তা সংসদীয় রাজনীতিতে ভয়ঙ্কর বিপদের সূচনা বলে মনে করছে সিপিআইএম। বুধবার থেকে শুরু হওয়া সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলনের সাংগঠনিক প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীর ভূমিকায় দল ও বামফ্রন্টের আচরণ কী হবে তার গাইডলাইনও দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
প্রায় সাড়ে তিন দশক পর ফের রাজ্যে বিরোধী আসনে সিপিআইএম। এই পরিস্থিতিতে সরকার বিরোধী আন্দোলনের দিশা কী হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলনের সাংগঠনিক প্রতিবেদনে। একই সঙ্গে কর্মীদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, বিরোধী দল হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেস যে ভূমিকা নিয়েছিল তাঁকে অনুসরন করার ঝোঁক থেকে সতর্ক থাকতে হবে। সেইসঙ্গে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আত্মসমালোচনার নামে বামফ্রন্ট বিরোধী সমালোচনার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ফেলছেন কিছু সদস্য। এই প্রবণতাকে এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়েছে ওই রিপোর্টে। বিরোধী দলের ভূমিকা কী হবে সে প্রসঙ্গে রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বিরোধী হিসেবে বামেদের কাছে কী চাইছে, সেটাই মূল মাপকাঠি হওয়া বাঞ্ছনীয়।

কেন্দ্রে এবং রাজ্যে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস জোট গড়ে সরকার চালাচ্ছে। কিন্তু দু`দলের মধ্যে সম্পর্কের ফাটলও অনেকটাই প্রকাশ্যে। সিপিআইএমের রাজ্য সম্মেলনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গও। সিপিআইএমের মতে ভোটের আগে এই জোট মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা পেলেও এখন টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতি সম্পর্কে পার্টি সদস্যদের সতর্ক করা হয়েছে রিপোর্টে। বলা হয়েছে, নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি না বাড়ালে পরিস্থিতি আপনাআপনি বামেদের অনূকুলে আসবে একথা মনে করা আত্মহত্যার সামিল। সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভকে হাতিয়ার করে আন্দোলনে মধ্যদিয়েই পরিস্থিতি নিজেদের অনূকুলে আনতে হবে বলে মনে করছে সিপিআইএম। এমনকী বেশি মানুষকে সামিল করার স্বার্থে প্রয়োজনে দলীয় পতাকা দূরে সরিয়ে রেখে সাধারণ কর্মসূচি নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। সামনেই রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। সিপিআইএম নেতৃত্ব মনে করছে, নতুন গাইড লাইন কতটা কার্যকর হবে তার উপরই নির্ভর করবে পঞ্চায়েত ভোটে বামেদের ফলাফল।

.