একে একে নিখোঁজ জ্যোতি-চন্দ্রমুখীরা, পাচার রুখতে কড়া এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ

সরকার আর ব্যবসায়ীদের চাপান উতোরে বাজার থেকে উধাও আলু। খুচরো ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার যে দরে আলু বিক্রির ফরমান দিয়েছে, তা মানতে হলে লাভ দূরের কথা, লোকসান সামলানোই দায় হবে। অন্যদিকে সরকার বেঁধে দিয়েছে আলুর দাম। সব মিলিয়ে বাজারে অমিল আলু। কোথাও সামান্য মিললেও দাম আকাশছোঁয়া।

Updated By: Nov 8, 2013, 10:29 AM IST

সরকার আর ব্যবসায়ীদের চাপান উতোরে বাজার থেকে উধাও আলু। খুচরো ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার যে দরে আলু বিক্রির ফরমান দিয়েছে, তা মানতে হলে লাভ দূরের কথা, লোকসান সামলানোই দায় হবে। অন্যদিকে সরকার বেঁধে দিয়েছে আলুর দাম। সব মিলিয়ে বাজারে অমিল আলু। কোথাও সামান্য মিললেও দাম আকাশছোঁয়া।
রাজ্যের উত্পাদিত মোট আলুর এক তৃতীয়াংশই হুগলির। হুগলির ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে গত বছরে উত্‍‍পাদনের হার ছিল  হেক্টরে ৩২ মেট্রিক টন। রাজ্যের সাড়ে ৪০০ হিমঘরের ১৮৩টিই হুগলি জেলায়। এহেন হুগলির জেলার বিভিন্ন বাজারে আলু নেই বললেই চলে। কোথাও কোথাও সামান্য আলু মিলছে চড়া দামে। জ্যোতি আলুর দর সতেরো টাকা কিলো। চন্দ্রমুখী অবশ্য কুড়িতেও অমিল।
 
গত বছর বর্ধমানে আলু চাষ হয়েছিল ৭ হাজার হেক্টর জমিতে।  লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ছিল উতপাদন।  তবু বর্ধমানের বাজারে এখন  আলু নেই। খুচরো বিক্রেতাদের অভিযোগ, পাইকারী বাজারে সরকার নির্ধারিত কেজিপ্রতি ১১ টাকায় আলু পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করা  সম্ভব নয়  বলে জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
 
বৃহস্পতিবার ফের আলুভর্তি ট্রাক আটক করে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।  আসানসোলে ঝাড়খণ্ড সীমানার ডুবুডি চেক পোস্ট থেকে  ১৬টি ট্রাক আটক করা হয়। বহরমপুরে ১৭ থেকে ১৮ টাকা কেজির নীচে মিলছে না আলু। ক্রেতাদের অভিযোগ, জ্যোতি আলু পুরোপুরি উধাও। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, আলুর যোগান প্রতিদিনই কমছে। সব মিলিয়ে জেলাগুলির বাজারেও আলুর আকাল। দিশেহারা সাধারণ মানুষ।

.