গঙ্গায় লাশ ফেলা কাণ্ডে ধৃত সমরেশকে নিয়ে যাওয়া হল সুচেতার বাড়ি দুর্গাপুরে
রাতেই ধৃত সমরেশ সরকারকে নিয়ে যাওয়া হয় সুচেতার বাড়ি দুর্গাপুর নিউ টাউনশিপে বিধাননগর হাউজিং এস্টেটে। আবাসনের সামনে তখন বিরাট ভিড়। গাড়ি থেকে আর নামানো হয়নি সমরেশকে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর পুলিস ফাংসিতে। পরে রাত দেড়টা নাগাদ শুধু পুলিস গিয়ে সুচেতার ফ্ল্যাটে তল্লাসি চালায়। রাতেই ফের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সমরেশকে।
ওয়েব ডেস্ক: রাতেই ধৃত সমরেশ সরকারকে নিয়ে যাওয়া হয় সুচেতার বাড়ি দুর্গাপুর নিউ টাউনশিপে বিধাননগর হাউজিং এস্টেটে। আবাসনের সামনে তখন বিরাট ভিড়। গাড়ি থেকে আর নামানো হয়নি সমরেশকে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বিধাননগর পুলিস ফাংসিতে। পরে রাত দেড়টা নাগাদ শুধু পুলিস গিয়ে সুচেতার ফ্ল্যাটে তল্লাসি চালায়। রাতেই ফের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সমরেশকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিযেছিল সুচেতার। ডিসেম্বর থেকে টাকা পাঠানোও বন্ধ করে দেন সুচেতার স্বামী। মাঝে কিছুদিন স্থানীয় একটি স্কুলে পড়াতেন সুচেতা। কিছুদিন টিউশনও করতেন। মাঝেমধ্যেই সুচেতার ফ্ল্যাটে যেতেন সমরেশ। প্রায়ই মেয়েকে মারধর করতেন সুচেতা। শুক্রবার সন্ধের পর থেকে দেখা মেলেনি সুচেতার।
ব্যাগ ভর্তি টুকরো টুকরো লাশ। দু-দুজনের লাশ টুকরো করে, ব্যাগে ভরে গঙ্গায় ফেলতেই, ধরা পড়ে যান ব্যাঙ্কের অফিসার সমরেশ সরকার। শিনা-হত্যাকাণ্ড নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড়ের মধ্যে, আরও এক শিউরে ওঠার মতো কাণ্ড হুগলির শ্রীরামপুরে।
শান্ত গঙ্গায় শনিবার ঝড় তুললেন সমরেশ সরকার।
দুর্গাপুরের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের এই অফিসার এদিন সকালে পৌছন ব্যারাকপুরের মণিরামপুর ঘাটে। সঙ্গে চারটি ট্রলিব্যাগ। তখনও কেউ জানে না, কী ভয়ঙ্কর উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি এসেছেন।
ঘাট পর্যন্ত সমরেশ সরকার আসেন মারুতি গাড়িতে। নেমে, মাঝিদের দিয়েই ট্রলিব্যাগগুলি তোলান নৌকোয়। মাঝগঙ্গায় হঠাত্ এক এক করে দুটি ট্রলি ব্যাগ ফেলে দেন তিনি। এতেই সন্দেহ হয় যাত্রীদের।
ঘাটে নামতেই পালানোর চেষ্টা করেন সমরেশ। কিন্তু তাঁকে ধরে, আটকে রাখা হয় সেখানে। আসে পুলিস। সমরেশ স্বীকার করেন, সঙ্গে থাকা বাকি দুটি ট্রলিও তিনি ফেলে দিয়েছেন শেওড়াফুলি ঘাটের কাছে। ততক্ষণে, উদ্ধার হয়েছে মাঝগঙ্গায় ফেলে দেওয়া দুটি ব্যাগ। খুলতেই সবার চোখ কপালে। ভিতরে প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া, দড়ি দিয়ে বাঁধা টুকরো টুকরো দেহ।
পুলিসি জেরায় সমরেশ সরকার স্বীকার করেন, ব্যাগে ভরা লাশ মা-মেয়ের।
সুচেতা চক্রবর্তী ও তার ছ-বছরের মেয়ে রূপাঞ্জনা।
কে সুচেতা, রূপাঞ্জনা?
সুচেতা চক্রবর্তী বয়স: আনুমানিক পয়ত্রিশ, ঠিকানা: R3/19, বিধাননগর হাউজিং, দুর্গাপুর
রূপাঞ্জনা, সুচেতা চক্রবর্তীর ছ-বছরের মেয়ে।
এ ঘটনায় উঠে আসছে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের তত্ত্বও। পুলিস সূত্রে খবর, সুচেতার সঙ্গে সম্পর্কের কথা জেরায় মেনে নিয়েছেন সমরেশ সরকার।
তবে কি সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনেই কি এই পরিণতি?
সমরেশ যদি খুনি না হন, তাহলে খুনের কথা পুলিসকে না জানিয়ে কেন দেহ লোপাটের চেষ্টা করলেন?
কেন দুর্গাপুর থেকে দেহগুলি নিয়ে তাঁকে এতদূরে শেওড়াফুলি যেতে হল?
এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনও অন্ধকারে।