`প্রতিবাদে` জেলায় জেলায় হামলা

দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে সি পি আই এমের বিক্ষোভের পর প্রথমটায় কার্যত উত্তেজিত হয়ে সিপিআইএমকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক করে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ ধিক্কারের পথ নামার কথা ঘোষণা করেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Updated By: Apr 9, 2013, 08:23 PM IST

দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অমিত মিত্রকে ঘিরে এসএফআইয়ের বিক্ষোভের প্রতিবাদে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে তৃণমূলের হামলা অব্যাহত। ঘটনার জেরে খড়দহে সিপিআইএমের তিনটি পার্টি অফিস ভাঙচুর করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বারাকপুরের বেশ কয়েকটি পার্টি অফিসে। বেলঘড়িয়াতেও ভাঙচুর করা হয় দুটি পার্টি অফিস। ভাঙচুর করা হয় শ্যামনগরের সিপিআইএম কার্যালয়ও। পার্টি অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় ঘরছাড়া বহু সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা।
উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাকপুরে সিপিআইএম জোনাল অফিসে দু-দফায় ভাঙচুর চালানো হয়। তৃণমূল সমর্থকদের মিছিল থেকে হামলা হয় বলে অভিযোগ। আহত হন দুই সিপিআইএম কর্মী। বারাকপুর স্টেশনের কাছে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআইয়ের সভামঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ব্যানার-ফেস্টুন। বারাকপুরের  হরিসভা, নৈহাটির দোগাছিয়া ও পানিহাটিতে  সিপিআইএম অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। শ্যামনগরের আঁটপুরেও তৃণমূল কর্মীরা সিপিআইএম অফিসে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ।
বসিরহাটের টাউন হল এলাকায় সিপিআইএমের জোনাল অফিসে ভাঙচুর করে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 
বারাসতের দত্তপুকুরে দুটি সিপিআইএম কার্যালয় এবং একটি ডিওয়াইএফআই কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।
বারাসতের নপাড়া চেকপোস্ট এলাকায় সিপিআইএমের লোকাল কমিটির নেতা শ্যামল মুখার্জির বাড়ি লক্ষ করে ইট ছোড়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় গাড়িতে।
বারাসত উত্তর-পূর্ব আঞ্চলিক কমিটির সদস্য শান্তি বটব্যালকে মারধর করা হয়।
সিপিআইএম কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বনগাঁতেও। হাবরা স্টেশনে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা অটোচালকদের ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ। বীজপুরেও সিপিআইএম কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।
নিউ ব্যারাকপুরে বাম মহিলা সংগঠনের রাজ্য কমিটির সদস্য যশোধরা বাগচির বাড়িতে ভাঙচুরের চেষ্টা চলে। এছাড়া বহু জায়গায় দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গোবরডাঙায় কয়েকজন সিপিআইঅএম কর্মীকে মারধর করা হয়।
হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা বামফ্রন্ট।
আসানসোলের নিউ সাতগ্রামে সিটুর একটি কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বারাবনিতে সিপিআইএম নেতা প্রভাত রায়, বামাপদ মাঝি ও গোপাল মণ্ডলকে মারধর করা হয়। বিভিন্ন পার্টি অফিস লক্ষ করে পাথর ছোড়া হয়।
হেনস্থার জবাবে হামলার ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গেও। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে তৃণমূলের মিছিল থেকে সিপিআইএম কার্যালয়ে দফায় দফায় হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক গাড়িতেও ভাঙচুর চলে।  
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে এসএফআই এবং পিএসইউ-এর কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। গঙ্গারামপুরেও সিপিআইএমের তিনটি কার্যালয়ে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
 
সাম্প্রতিক সময়ে বহুবার বনধ-অবরোধের রাজনীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার তাঁর দলের নেতা-কর্মীরাই বসিরহাটের ভ্যাবলা স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করেন। অবরোধ হয় টাকি রোডেও। 

.