নিজস্ব প্রতিবেদন : ১১ অগাস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন ইমরান খান। পাকিস্তানের ভাবি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইরফান খানের অভিষেকের দিন হাজির থাকতে পারেন বলিউড সুপারস্টার আমির খান। সম্প্রতি এমন গুঞ্জন শুরু হয় বিভিন্ন মহলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রিপোর্টে প্রকাশ, কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, ইমরান খানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে পারেন তাঁর বেশ কয়েকজন ভারতীয় বন্ধু। যাঁর মধ্যে রয়েছেন আমির খান, কপিল দেব এবং সুনীল গাভাস্কর এবং নভজ্যোত সিং সিধুর মত ব্যক্তিত্ব। কিন্তু, পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইমরান খানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে কপিল দেব, সুনীল গাভাস্কার, আমির খান বা নভজ্যোত সিং সিধু কাউকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর এরপরই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন বলিউড সুপারস্টার আমির খান।


আরও পড়ুন : দীপিকাকে প্রকাশ্যে চুম্বন রণবীরের, ভাইরাল ভিডিও


তিনি বলেন, ‘আমি কোনওভাবেই পাকিস্তানে যাচ্ছি না। ইমরান খানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের কোনও আমন্ত্রণ পত্র-ও আমার কাছে আসেনি।’ ‘দঙ্গল’ স্টার আরও বলেন, এই মুহূর্তে তিনি ‘পানি ফাউন্ডেশনের কাজ ব্যস্ত। তাই অন্য কোনও ইভেন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে তিনি মাথা ঘামাতে পারছেন না বলেও স্পষ্ট জানান আমির খান।


প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের ভাবি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ‘সার্ক’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশের প্রতিনিধিরা হাজির থাকতে পারেন। যে তালিকায় ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামও। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত জানা যায়, ইমরান খানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হাজির থাকবেন না। তবে ইমরানের অভিষেকের দিন তাঁর কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধু হাজির হতে পারেন। তবে সেই তালিকায় কাদের নাম রয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।


আরও পড়ুন : ভাইরাল ঐশ্বর্যর সমকামী ভিডিও, তোলপাড় রুপোলি জগত



এদিকে এনডিটিভি সূত্রে খবর, পাকিস্তানের দুটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল পিএমএল (নওয়াজ) ও পিপিপি হাত মিলিয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বেশ কয়েকটি ছোট দলও। এই দলগুলির জোটের নাম দেওয়া হয়েছে 'অল পার্টি কনফারেন্স'। বিরোধী জোটই ভোটাভুটি অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে ইমরানের পথের কাঁটা হতে চলেছে।


আরও পড়ুন : অভিষেক সহ বচ্চনদের বিরুদ্ধে 'গুরুতর' অভিযোগ পরিচালকের!


ফলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে ইমরান খানের অভিষেক এখন কার্যত অনিশ্চিত। এই ক্রিকেট তারকাই যে এবার পাক প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্তও সে বিষয়ে নিশ্চিত ছিল সারা বিশ্ব। কিন্তু, প্রধান বিরোধীরা জোট বাঁধতেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। কারণ বিরোধী দলগুলির দাবি, পাকিস্তানে ২৫ জুলাই-এর সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ইমরানের দলকে পিছন থেকে সাহায্য করেছে পাক সেনা। তাই, এই দলের সরকার গঠনের কোনও নৈতিক বৈধতা নেই। সে জন্যই ইমরানের বিরুদ্ধে ভোটাভুটিতে অংশ নেবেন তাঁরা।