Saibal Bhattacharya: আত্মহত্যার পোস্টে ধুন্ধুমার! অভিনেতা শৈবালের ‘অত্যাচারে’ অতিষ্ঠ পাড়া

Saibal Bhattacharya, অয়ন ঘোষাল: ফের আত্মহত্যার চেষ্টা টলিপাড়ায়। শনিবার নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ শৈবাল ভটাচার্য। ‘উড়ন তুবড়ি’ থেকে ‘মিঠাই’, একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সোমবার রাতে কসবায় নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অভিনেতা। আয়নার কাচে জোরে নিজের মাথা ঠোকেন, তার জেরেই শুরু হয় রক্তক্ষরণ। এমনকী সেই ভাঙা কাচ দিয়েও নিজের হাতে পায়ে আঘাত করেন অভিনেতা। তবে শুধুমাত্র আত্মহত্যাই নয়, সেই আত্মহত্যার ভিডিয়োও করেন তিনি। সেই ভিডিয়ো আপলোডও করেন ফেসবুকে। সেখানেই দেখা যায়, মাথা থেকে অঝোরে রক্ত পড়ছে অভিনেতার। যা দেখে শিউরে ওঠে নেটপাড়া। এরপরই তাঁকে নিয়ে যাওয়া চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরই ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু কেন আত্মহত্যা করলেন শৈবাল ভট্টাচার্য?

মানসিক উদ্বেগ থেকে ক্ষণিকের নেশার ঘোর? নাকি পুরনো স্বভাব? অভিনেতা শৈবাল ভট্টাচার্যের আচরণ নিয়ে উঠে আসছে দু-রকম তত্ত্ব। কসবা থানার বোসপুকুর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসে শৈবাল ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী স্নিগ্ধা ভট্টাচার্যের দাবি, এই কসবাতেই তাদের একটি পুরনো ফ্ল্যাট কেনার কথা বারুইপুরের এক ক্রেতার। বিগত প্রায় চার বছর ধরে নানান আইনি জটিলতায় তা বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় তীব্র মানসিক অবসাদে ভুগছেন অভিনেতা শৈবাল ভট্টাচার্য। অভিনয়ের কাজও প্রায় বন্ধ। ফলে রোজগার প্রায় নেই। তাই নেশার ঘোরে তিনি প্রথমে ঘরের ড্রেসিংরুমের আয়নায় নিজের মাথা ঠুকে দেন। এরপর সেখান থেকে ভেঙে পড়া বড় কাচের টুকরো দিয়ে আঘাত করেন হাতে ও পায়ে।

প্রতিবেশী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলছেন। কারণ এই প্রথমবার নয়, এর আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন অভিনেতা। প্রতিবেশীদের দাবি, বছর দেড়েক আগেও একবার ভোজালি দিয়ে নিজের পেট কেটে ফেলার চেষ্টা করেন শৈবাল ভট্টাচার্য। মাঝেমাঝে কোনো একটি নেশাদ্রব্য বা মাদক(তদন্ত সাপেক্ষ) এর প্রভাবে এলাকায় প্রকাশ্যে বিবস্ত্র হয়ে ঘোরেন। আবার কখনও নিজেকেই রক্তাক্ত করে খুব সম্ভবত স্যাডিস্টিক প্লেজার পান। প্রতিবেশীদের প্রায় সবার দাবি, শৈবাল বাবুর জ্বালায় তারা অতিষ্ঠ। তবে ঠিক কী কারণে বারে বারে তার এই আচরণ, কিসের ঘোরে তার আচার আচরণে এই অস্বাভাবিকতা। ইতিমধ্যেই শৈবাল ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কসবা থাানার পুলিস। তবে কী কারণে বারংবার আত্মহত্যার চেষ্টা তা খতিয়ে দেখছে কসবা থানার পুলিস।