উত্তম কুমারকে ঘায়েল করে ছেড়েছিলেন সেদিনের এই মিস শেফালি
Zee ২৪ ঘণ্টার ফেস অফ অনুষ্ঠানে এসে নিজের নাটকীয় যাত্রাপথের কথা নিজেই জানালেন বাংলা চলচিত্র জগতের `হেলেন` মিস শেফালি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যবিত্ত বাঙালি ঘরের মেয়ে বেছে নিয়েছিল ক্যাবারে ডান্সারের জীবন। আরতি দাস হয়ে উঠেছিল মিস শেফালি। Zee ২৪ ঘণ্টার ফেস অফ অনুষ্ঠানে এসে নিজের নাটকীয় যাত্রাপথের কথা নিজেই জানালেন বাংলা চলচিত্র জগতের 'হেলেন' মিস শেফালি।
জানালেন, অ্যাংলো ইন্ডিয়ান বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে করতে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে নাচ শিখেছিলেন তিনি। সেই শুরু হয়েছিল মিস শেফালির ক্যাবারে ডান্সার হিসাবে জীবনকে বেছে নেওয়া। রপ্ত করেছিলেন বিভিন্ন নৃত্যভঙ্গী। তারপর বিভিন্ন হোটেলে ক্যাবারে ডান্সার হিসাবে কাজ করেছেন। হয়ে উঠেছেন সেসময়কার কলকাতার অন্যতম সেরা ক্যাবারে ডান্সার। খ্যাতনামা হোটেলে ৭০০ টাকা বেতন পাবেন শুনে ভীষণ খুশি হয়েছিলেন তিনি। তবে ডান্সের জন্য যে পোশাক পরতে হবে তা দেখে কেঁদে ফেলেছিলেন বলে জানালেন শেফালি। তবে পরিবারের অন্ন সংস্থানের জন্য কাজ করতে রাজি হয়েছিলেন তিনি। গ্র্যান্ড, পার্ক সহ বিভিন্ন হোটেলে ক্যাবারে ডান্সার হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।
আরও পড়ুন-সরস্বতী পুজোয় ভক্তদের ম্যাজিক দেখালেন মুমতাজ সরকার
পরবর্তীকালে ক্যাবারে ডান্সার থেকে থিয়েটারে আসেন মিস শেফালি। পরিচালক সত্যজিৎ রায় নিজে ফোন করেছিলেন মিস শেফালিকে। তাঁকে সিনেমায় অভিনয় করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। 'প্রতিদ্বন্দ্বী' ছবিতে কাজ করার সুযোগ আসে তাঁর কাছে। মিস শেফালির নাচ দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন খোদ মহানায়ক উত্তম কুমার। একটি জায়গায় বিশেষ একধরনের ডান্স ফর্মের জন্য ডান্স করতে করতে এক ব্যক্তিকে মালা পরানোর সুযোগ আসে মিস শেফালির কাছে। আর সেই ব্যক্তিটিই ছিলেন উত্তম কুমার। হুলা ডান্সে উত্তম কুমারকে হাত ধরে টেনে নিয়ে গিয়ে নাচিয়ে ছেড়েছিলেন মিস শেফালি। মনে মনে বলেছিলেন, ''তুমি উত্তম কুমার, আমিও মিস শেফালি, তোমাকে আজ ছাড়ছি না।'' পরবর্তীকালে অবশ্য উত্তম কুমারের সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায় তাঁর।