Ruplekha Mitra: নুসরতের পর আর্থিক প্রতারণা মামলায় ইডির তলব রূপলেখাকে, শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ছবিতে ডেবিউ, এখন কী করেন অভিনেত্রী?
Ruplekha Mitra-Nusrat Jahan: সম্প্রতি ২৪ কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণা মামলায় নাম জড়িয়েছে অভিনেত্রী নুসরত জাহানের। তবে তিনি একা নন, এই মামলায় নাম জড়িয়েছে আরেক অভিনেত্রী। তিনি রূপলেখা মিত্র, কে এই অভিনেত্রী?
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নুসরত জাহানের(Nusrat Jahan) সঙ্গেই ২৪ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলায় নাম জড়িয়েছে অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্রের(Ruplekha Mitra)। সম্প্রতি এই মামলায় ইডি(ED) ডেকে পাঠিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে। এবার সেই একই মামলায় অভিনেত্রী রূপলেখা মিত্রকে তলব করল ইডি। মঙ্গলবারই নুসরত জানান যে তিনি ইডির মেইল পেলে অবশ্যই হাজিরা দেবেন। বুধবার সেই মামলায় যুক্ত হল আরও এক অভিনেত্রীর নাম, তিনি রূপলেখা মিত্র।
আরও পড়ুন-Nusrat Jahan: ২৪ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলায় ইডির তলব, মুখ খুললেন নুসরত জাহান...
বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদের নামে ২৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছিল ইডি-র কাছে। টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট হস্তান্তর না করার অভিযোগ ওঠে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। সেভেন্থ সেন্স ইনফ্রাস্টাচার নামক এক কোম্পানির ডিরেক্টর থাকাকালীন ২৪ কোটি টাকা বেআইনি লেনদেনের সঙ্গে জড়িত বলে গড়িয়াহাট থানায় এইআইআর দায়ের হয়েছিল নুসরতের বিরুদ্ধে। এবার সেই কেসে নুসরত জাহানকে ডেকে পাঠাল ইডি।
কে এই রূপলেখা?
নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘ইচ্ছে’-র হাত ধরে টলিউডে পা রাখেন রূপলেখা মিত্র। এরপর কলি নামক একটি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। কিন্তু ২০১৫ সালের পর থেকেই আর কোনও ছবিতে তাঁকে দেখা যায়নি। উত্তর কলকাতার মেয়ে রূপলেখার বাবা-মা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরীজীবী। ২০১৭ সাল অবধি রাকেশ সিং ও নুসরত জাহানের সঙ্গে সেভেন্থ সেন্স ইনফ্রাস্টাচার নামক এক কোম্পানিতে ছিলেন তিনি। তাঁর সাইনিং অফরিটি না থাকার কারণেই সেই কোম্পানি থেকে তিনি বেরিয়ে যান বলেই জানিয়েছেন রূপলেখা।
রূপলেখার দাবি ২০১৭ সালে ঐ কোম্পানি থেকে বেরিয়ে ২০২০ সালে নিজের ছোট্ট একটি ব্যবসা শুরু করেন তিনি। এক্সপোর্ট-ইমপোর্টের ব্যবসা করেন তিনি। অভিনয় জগত তাঁর পছন্দ হয়নি বলেই তিনি অভিনয়কে বিদায় জানিয়ে ব্যবসায় মন দিয়েছেন। তাঁর দাবি, তিনি ইডির ডাকে যাবেন ও তদন্তে সাহায্যও করবেন। তবে নুসরতের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই বলেই দাবি করেন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৪ সালে নুসরতের সংস্থা ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নেয়। তাঁদের মধ্যে ছিলেন একটি ব্যাঙ্কের অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী সহ বেশ কিছু চাকুরীজীবী। তাঁদের বলা হয়েছিল, তিনবছরের মধ্যে রাজারহাট হিডকোর কাছে প্রত্যেককে 3BHK করে ফ্ল্যাট দেওয়া হবে।কিন্তু ২০২৩ সাল অর্ধেক কেটে যাওয়ার পরেও আজ পর্যন্ত ফ্ল্যাট পাননি কেউই।তাই বাধ্য হয়েই ইডির দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
সম্প্রতি বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা প্রতারিতদের সঙ্গে নিয়ে অভিযোগ জানাতে যান ইডি দফতরে। শঙ্কুদেব পন্ডার অভিযোগ, গড়িয়াহাট রোডে মেসার্স ৭সেন্স ইনফাস্ট ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি আছে। সেই কোম্পানির ডিরেক্টর তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান।আরও অভিযোগ, ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে, প্রায় ২৪ কোটি টাকা নিয়েছে সেই সংস্থা।এমনকী সেই টাকা দিয়ে নুসরত জাহান নিজে পাম এভিনিউতে ফ্ল্যাট কিনেছেন বলেও অভিযোগ।
এরপরেই নুসরত প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেন, তিনি কোনও আর্থিক দুর্নীতিতে যুক্ত নন। সংস্থাটির ডিরেক্টর থাকাকালীন কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা ফেরত দিয়ে দেন। নুসরতের দাবি, 'এই কোম্পানি থেকে ২০১৭-র ১ মার্চ আমি রিজাইন করি। আমার বাড়ি দুর্নীতির টাকা দিয়ে কেনা নয়। এই কোম্পানি থেকে আমি লোন নিই। ১ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা লোন নিই। ২০১৭-র ৬ মে সুদ সহ ১ কোটি ৪০ লাখ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত দিই এই কোম্পানিতে। সব ব্যাংক ডিটেইলস ও রেকর্ড আমার কাছে আছে। আমি কোনওদিনই এরকম কোনও কাজ না করেছি, না করব। ৩০০ শতাংশ চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, দুর্নীতির সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নই’। এরপরেই অভিনেত্রীকে ডেকে পাঠায় ইডি। এবার সেই মামলায় নাম জড়াল রূপলেখারও।