``তুমি যেখানেই থাকো, হাসিখুশি থেকো``, প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা অঙ্কিতার

নিজস্ব প্রতিবেদন : হাসি খুশি, প্রাণোবন্ত..., সুশান্তের মৃত্যুর পরও তাঁকে এভাবেই মনে রাখতে চায় তাঁর সকল অনুরাগী ও কাছের মানুষগুলি।  একইভাবে অঙ্কিতাও চান সুশান্ত যেখানেই থাকুক, আগের মতোই হাসিখুশি থাকুক, ঠিক যেমনটা তিনি আগেও চেয়ে এসেছেন। ফের একবার সুশান্তের স্মৃতিতে প্রদীপ জ্বালিয়ে সেই প্রার্থনাই করলেন অঙ্কিতা লোখান্ডে।

সুশান্ত সিং রাজপুতের শেষ ছবি মুক্তির আগে আবারও একবার ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলেন সুশান্তের 'ভালোবাসা'র মানুষ অঙ্কিতা। ঈশ্বরের ছবির একটি প্রদীপ জ্বালানোর ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। ক্যাপশানে লিখেছেন, ''আশা, প্রার্থনা ও শক্তি। '' লিখলেন, ''তুমি যেখানেই থাকো, হাসিখুশি থেকো''।

সোমবার অঙ্কিতার এই পোস্টের নিচে কমেন্ট করেছেন সুশান্ত-অঙ্কিতার অনুরাগীরা। প্রসঙ্গত সুশান্তের মৃত্যুর ১ মাস পূর্তি উপলক্ষেও ঈশ্বরের ছবি ও মূর্তির সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী। ক্যাপশানে সুশান্তের উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন, ''ঈশ্বরের সন্তান''।

প্রসঙ্গত, সুশান্ত-অঙ্কিতার বন্ধুরা জানিয়ে এসেছেন। সুশান্তের আকষ্মিক মৃত্যুর খবরে তাঁর পরিবার ছাড়া যে মানুষটা সবথেকে বেশি কষ্ট পেয়েছেন, তিনি হলেন অঙ্কিতা লোখান্ডে। সুশান্তের মৃত্যুর পর ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। কথা পর্যন্ত বলতে পারছিলেন না। তাঁদের বন্ধুদের অনেকেরই দাবি, সুশান্ত-অঙ্কিতা একসঙ্গে থাকলে হয়তা সুশান্তের জীবনের পরিণতি এমনটা হত না।

'পবিত্র রিস্তা' ধারাবাহিকের কাজের সূত্রেই সুশান্ত-অঙ্কিতার বন্ধুত্ব, সেখান থেকেই প্রেম। দীর্ঘ ৬ বছর তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন। এমনকি ২০১৬ সালে সুশান্ত-অঙ্কিতা তাঁদের বিয়ের কথাও সকলকে জানিয়ে দিয়েছিলেন। আর তার ঠিক পরপরই তাঁদের বিচ্ছেদের খবরে ভেঙে পড়েন ভক্তরা। তবে বিচ্ছেদের পরও সুশান্ত-অঙ্কিতা যে একে অপরকে কোনওদিনই ভুলতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তাঁদের ঘনিষ্ঠরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এমনকি সুশান্তের থেকে আলাদা হওয়ার পর, তাঁর প্রতিটি ছবির মুক্তির আগে ঈশ্বরের কাছে সাফল্য প্রার্থনা করেছেন অঙ্কিতা। নিজের ফ্ল্যাটের নেমপ্লেটেও এখনও সযত্নে সুশান্তের নাম অঙ্কিতা রেখে দিয়েছেন।