অশ্বীন পাণ্ডে: শুধুমাত্র সলমান খানের সঙ্গে যোগাযোগের কারণেই খুন হতে হল বাবা সিদ্দিকীকে, নাকি এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক কারণ? নাকি পরোক্ষে চলছে বলিউড দখলের রাজনীতি। এই খুন নানা প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায় মুম্বই পুলিসকে। শনিবার রাতে লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi) গ্যাংয়ের হাতে খুন হন সলমান খান (Salman Khan) ঘনিষ্ঠ নেতা বাবা সিদ্দিকী (Baba Siddiqui)। তাঁর মৃত্যুর দায় স্বীকার করে সলমানকে রবিবার নয়া বার্তা দেয় লরেন্সের টিম।সেই মামলার তদন্তে নেমে এবার প্রথমেই ডেকে পাঠানো হল অনুরাগ কাশ্যপকে। কিন্তু কেন?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Salman Khan | Lawrence Bishnoi: ৫ বছর বয়স থেকেই সলমানকে খুন করতে চায় লরেন্স, এত রাগের কারণ কী?


সলমান খানের উদ্দেশ্যে বার্তায় লরেন্সের গ্যাং লেখে, 'সলমান খান, আমরা এটা চাইনি। তুমিই তোমার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী। কারোর সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। কিন্তু সলমান খান, দাউদকে যে যে সাহায্য করবে, তারা তৈরি থাকো।' শুধু বাবা সিদ্দিকীই নন, সিধু মুসেওয়ালা থেকে কারনি সেনা প্রধান সুখদেব সিং গোগামেদীকেও খুন করে লরেন্সের গ্যাং। সলমান ঘনিষ্ঠকে খুন করে আসলে মেগাস্টারকে চাপে রাখতে চায় লরেন্স। লরেন্সের নিশানায় এবার সিধু মুসেওয়ালার সেক্রেটারি ও মুনাওয়ার ফারুকী। 


২০২২ সালে প্রথম সলমানকে খুনের হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠায় লরেন্স বিষ্ণোই। সেলিম খানের কাছে পৌঁছায় সেই চিঠি। এরপর ফের ২০২৩ সালে ফের ইমেইল মারফত দেওয়া হয় হুমকি। বান্দ্রা পুলিস স্টেশনে দায়ের হয় অভিযোগ। এরপর গত ১৪ এপ্রিল সলমান খানের বাড়ির সামনে দুই ব্যক্তি এসে গুলি চালিয়ে যান। তার পর থেকে ধীরে ধীরে নতুন করে প্রকাশ্যে আসতে থাকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সলমান হত্যার পরিকল্পনার কথা। সেই মামলায় গ্রেফতার হয় দুই ব্যক্তি। এমনকী পানভেলে সলমানের উপর আক্রমণের ছক কষে ছিল লরেন্সের গ্যাং। কিন্তু সেই ঘটনা ঘটার আগেই পুলিস গ্রেফতার করে নেয় চার শ্যুটারকে। রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে একে ফর্টি সেভেন দিয়ে গুলি করার পরিকল্পনা করেছিল লরেন্সের টিম।


আরও পড়ুন- Atul Parchure Passes Away: প্রয়াত অতুল পরচুরে, ক্যানসারই প্রাণ কাড়ল জনপ্রিয় কমেডিয়ানের...


কীভাবে বাবা সিদ্দিকীকে খুন করা হবে তা আগেই পরিকল্পনা করেছিল তিন শ্যুটার। দশেরা উপলক্ষে বাবা সিদ্দিকী যখন আতসবাজি ফাটাচ্ছিলেন, সেই সময় একটি গাড়ি থেকে রুমালে মুখ ঢাকা তিনজন লোক বেরিয়ে আসে। তারা একটি ৯.৯ এমএম পিস্তল দিয়ে গুলি চালায়। তিন রাউন্ড গুলি করে, যার মধ্যে তিনটি সিদ্দিকীর বুকে লাগে, এতে তিনি ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। পূর্ব বান্দ্রায় বাবা সিদ্দিকীর ছেলে জিশানের অফিসের বাইরে গুলি চালায় তিন জন। তিনটি গুলিতে বিদ্ধ করা হয় তাঁকে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বাবা সিদ্দিকিকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, সিদ্দিকীর প্রচুর রক্তপাত হয় এবং তাকে বাঁচানোর জন্য সব চেষ্টা করা সত্ত্বেও তাঁরা ব্যর্থ হয়েছে। অবশেষে ১১.২৭ টায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। রবিবার তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। 


ইতোমধ্যেই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কর্নাইল সিং এবং ধর্মরাজ কাশ্যপ নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, তারা লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে দাবি করেছে। আরও জানা গিয়েছে, দু'জন তদন্তকারীদের বলেছে যে তারা গত এক মাস ধরে সিদ্দিকীর গতিবিধির উপর নজর রাখছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে যে এখনও পলাতক, জানা গিয়েছে সে মুম্বইয়ের কুর্লাতে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকত। এই তিনজন এর আগে পঞ্জাবের একটি জেলে একসঙ্গে বন্দী ছিলেন, যেখানে তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের একজন সদস্যের সংস্পর্শে এসেছিলেন। এই গ্যাঙের মাধ্যমেই তারা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এই কন্ট্রাক্ট কিলিংয়ের পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নে গ্যাংয়ের প্রভাব এবং সংযোগ একটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে। রবিবারই বাবা সিদ্দিকীকে খুনের দায় রবিবার স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোই। এই মামলায় মঙ্গলবার গ্রেফতার হওয়া শ্যুটার ধর্মরাজ কাশ্যপের ভাই অনুরাগ কাশ্যপকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় মুম্বই পুলিস।  



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)