Salman Khan | Lawrence Bishnoi: ৫ বছর বয়স থেকেই সলমানকে খুন করতে চায় লরেন্স, এত রাগের কারণ কী?
Salman Khan | Lawrence Bishnoi: একের পর এক হুমকি, ৫ বছর বয়স থেকেই সলমানকে খুন করতে চায় লরেন্স, কিন্তু কেন? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সলমানের অনুরাগীদের মধ্যে। রবিবারই বাবা সিদ্দিকীকে খুনের দায় স্বীকার করে লরেন্স বিষ্ণোই দাবি করে যে সলমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাই কাল হয়েছে বাবা সিদ্দিকীর।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শনিবার রাতে লরেন্স বিষ্ণোই (Lawrence Bishnoi) গ্য়াংয়ের হাতে খুন হন সলমান খান (Salman Khan) ঘনিষ্ঠ নেতা বাবা সিদ্দিকী (Baba Siddiqui)। তাঁর মৃত্যুর দায় স্বীকার করে সলমানকে রবিবার নয়া বার্তা দেয় লরেন্সের টিম। সলমান খানের উদ্দেশ্যে তাঁরা বলেন, 'সলমান খান, আমরা এটা চাইনি। তুমিই তোমার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী। কারোর সঙ্গে আমাদের ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। কিন্তু সলমান খান, দাউদকে যে যে সাহায্য করবে, তারা তৈরি থাকো।' কী কারণে সলমানের উপর এত রাগ লরেন্সের? কেনই বা তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলতে চায়?
শুধু বাবা সিদ্দিকীই নন, সিধু মুসেওয়ালা থেকে কারনি সেনা প্রধান সুখদেব সিং গোগামেদীকেও খুন করে লরেন্সের গ্যাং। সলমান ঘনিষ্ঠকে খুন করে আসলে মেগাস্টারকে চাপে রাখতে চায় লরেন্স। ২০২২ সালে প্রথম সলমানকে খুনের হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠায় লরেন্স বিষ্ণোই। সেলিম খানের কাছে পৌঁছায় সেই চিঠি। এরপর ফের ২০২৩ সালে ফের ইমেইল মারফত দেওয়া হয় হুমকি। বান্দ্রা পুলিস স্টেশনে দায়ের হয় অভিযোগ। এরপর গত ১৪ এপ্রিল সলমান খানের বাড়ির সামনে দুই ব্যক্তি এসে গুলি চালিয়ে যান। তার পর থেকে ধীরে ধীরে নতুন করে প্রকাশ্যে আসতে থাকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সলমান হত্যার পরিকল্পনার কথা। সেই মামলায় গ্রেফতার হয় দুই ব্যক্তি।
এমনকী পানভেলে সলমানের উপর আক্রমণের ছক কষে ছিল লরেন্সের গ্যাং। কিন্তু সেই ঘটনা ঘটার আগেই পুলিস গ্রেফতার করে নেয় চার শ্যুটারকে। রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে একে ফর্টি সেভেন দিয়ে গুলি করার পরিকল্পনা করেছিল লরেন্সের টিম। সম্প্রতি বিদেশে এপি ঢিঁলোর শোয়ের বাইরেও গুলি চালায় লরেন্সের গ্যাং। কারণ তাঁর একটি মিউজিক ভিডিওতে ছিলেন সলমান। কিন্তু কেন সলমানকে মারতে চায় লরেন্স?
২০১৮ সালে একটি মামলায় লরেন্স গ্রেফতার হওয়ায় তাঁকে আদালতে নিয়ে আসা হলে কোর্টে দাঁড়িয়েই সে বলে 'সলমানকে যোধপুরেই মারা হবে। তারপর ও জানতে পারবে, আমাদের আসল পরিচল কী?' এরপর ২০২২ সালে প্রথম হুমকি চিঠি পান সলমানের বাবা সেলিম খান। আসলে ১৯৯৮ সাল থেকে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হিট তালিকায় রয়েছেন সলমান খান। ওই বছরই হাম সাথ সাথ হ্যায় ছবির শ্যুটিংয়ে গিয়ে রাজস্থানে একটি কৃষ্ণসার হরিণ মারেন সলমান খান। আর এই বিষ্ণোই গ্যাং কৃষ্ণসার হরিণকে মাতৃ রূপে পূজা করে। সেই সময় লরেন্সের বয়স ছিল ৫ বছর। কিন্তু তখন থেকেই সলমানকে খুন করার ইচ্ছে প্রকাশ করে লরেন্স। একাধিকবার হুমকির পর মুম্বই পুলিস নিরাপত্তা বাড়িয়েছে সলমানের।
প্রসঙ্গত, লরেন্স বিষ্ণোই পঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলার আবোহারের কাছে ধত্তারানওয়ালি গ্রামের এক সচ্ছল কৃষক পরিবারের ছেলে এবং বর্তমানে তিহার জেলে বন্দী। বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে খুন থেকে তোলা বাজি পর্যন্ত দুই ডজন মামলা রয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৭০০ শ্যুটারের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)