নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বপ্ন ছিল, সিনেমার নির্দেশক হবে। সেই স্বপ্নের পথেই পা বাড়াচ্ছিলেন তরুণ পরিচালক, নাম অরণ্য পলাশ। ছবির প্রযোজক মাঝপথেই পালিয়ে যান। তাতে কী! নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে নিজেই টাকা জোগাড় করতে উদ্যোগ নেন অরণ্য। আর সেটাই তার জন্য এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিনেমার টাকা না তুলতে পেরে প্রায় পথে বসেছেন বাংলাদেশের পরিচালক অরণ্য পলাশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা যাচ্ছে, নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে দেশাত্মবোধক একটি ছবির কাজ শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের পরিচালক অরণ্য পলাশ। তবে মাঝপথেই ছেড়ে চলে যান ছবির প্রযোজক। অগত্য ছবি বানানোর টাকা জোগাড় করতে বাবার পেনশন, বাড়ি স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে দেন অরণ্য। তবে তাতেও পুরো টাকা না ওঠায় ঋণও নেন তিনি। 'গন্তব্য' নামে এই ছবির কাজ শেষ হলেও শেষপর্যন্ত ছবিটি মুক্তি দিতেই পারেননি। এমনকি একটি টিভি চ্যানেলের কাছে ছবিটি বিক্রির কথা হলেও শেষপর্যন্ত সেটি বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। আপাতত বিপর্যস্ত অবস্থায় দিন কাটছে বাংলাদেশের তরুণ পরিচালক অরণ্য পলাশের।


আরও পড়ুন-মহাভারতে দ্রৌপদীর হচ্ছেন দীপিকা



আরও পড়ুন-সিঁথিতে সিঁদুর, সেজেগুজে দীপাবলি সেলিব্রেট করিনার, সঙ্গী সারা, ইব্রাহিম ও তৈমুর


তাঁর অবস্থা এতটাই করুণ যে তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন স্ত্রী সহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন। আপাতত জীবনধারণ করতে একটি রেস্তোরাঁতে ওয়েটারের কাজ নিয়েছেন অরণ্য তাতে তাঁর আয় হয় দিনপ্রতি ২৫০টাকা এবং তিনবেলা খাওয়া দাওয়া। জানা যাচ্ছে ছবিটি বাংলাদেশের একটি সংস্থা প্রথমে কিনবে বলে ১০টাকা দেবে বললেও পরে তারা ৪ লক্ষ টাকার বেশি দিতে চাইছেন না। তবে এত কম টাকায় কোনওভাবেই ছবিটি বিক্রি সম্ভব নয় বলেই সরব হয়েছেন পরিচালক অরণ্য পলাশ। তাঁর বানানো ছবিটি দেশাত্মবোধক, অগত্যা সরকারি সাহায্যের আশায় দিন কাটাচ্ছেন পরিচালক অরণ্য পলাশ। 


প্রসঙ্গত পরিচালক অরণ্য পলাশের ছবিতে অভিনয় করছেনে ফিরদৌস-আইরিন জুটি। পাশাপাশি রয়েছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কাজী রাজু, আফফান মিতুল সহ বাংলাদেশের অন্যান্য কলাকুশলীরা।