নিজস্ব প্রতিবেদন: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পর বাংলা চলচ্চিত্র জগতে ফের একটা দুঃসংবাদ। প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায়। অভিনেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলা চলচ্চিত্র জগত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বিভাস চক্রবর্তী, অভিনেতা, নাট্যকার- মনুদা আমার ভীষণ প্রিয় মানুষ। ভালো অভিনেতাও। আমি মনুদার অনুগ্রাহী ছিলাম। মাঝেমধ্যে দেখা হত।



ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অভিনেত্রী- এই বছরটা সত্যিই ধ্বংসের বছর। আরও একজন প্রিয় মানুষকে হারালাম। মনু আঙ্কেলকে আমি কাজের সূত্রে তো চিনতামই, ব্যক্তিগত সূত্রেও চিনি। উনি আমার সেজ মামা-মামীর প্রিয় মানুষ ছিলেন। অনেক ছোটবেলা থেকেই দেখেছি উনি আমার মামাবাড়িতে আসতেন। ওনার সঙ্গে কাজও করেছি। স্নেহপ্রবণ, আন্তরিক, একজন ভালোমানুষ চলে গেলেন। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি। বাংলা ছবির জগতে উনি অনেক ভালো ভালো কাজ করেছেন। বাংলা চলচ্চিত্র জগত সব সময় ওনার কথা মনে রাখবে। 



শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা - আমি মনুবাবা বলে ডাকতাম, আমায় ছেলের মতই স্নেহ করতেন, দ্বিতীয়বার পিতৃহারা হলাম (বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেতা)



শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা- প্রম্পটার থেকে চরিত্রাভিনেতা, সব পরিচালকের পছন্দের ছিলেন। গলার আওয়াজ, এমন ছিল যে দু'মাইল দুর থেকেও লোকে শুনতে পেত। এই শূন্যতা পূরণ হবে না।



শক্কর চক্রবর্তী, অভিনেতা - গতকালই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণসভা ছিল, আর আজ সকালেই দুঃসংবাদ পেলাম। এবার মছলিবাবাও চলে গেলেন। এই বছরটা সত্য়িই বিষ বছর।



বিশ্বনাথ বসু, অভিনেতা - গোয়ার শ্য়ুটিংয়ের এক ঘটনার কথা খুব মনে পড়ছে। হোটেলে মনুকাকুর রুমে ইন্টারকম খারাপ ছিল। চায়ের অর্ডার দেওয়া যাচ্ছে না। মনুকাকু বললেন জানলাটা একটু ফাঁক করা, আর তারপরই এমন বিকট আওয়াজ করে এমন ডাকলেন যে ১ মিনিটের মধ্য়ে রুম সার্ভিসের লোকারা চলে এলেন। খুবই মজার মানুষ ছিলেন। 



দেবদূত ঘোষ, অভিনেতা, আর্টিস্ট ফোরামের সদস্য- শুধু পর্দায় বা থিয়েটার মঞ্চ নয়, ৬ দশক ধরে রেডিও নাটকেও দাপটের সঙ্গে কাজ করে গেছেন। ওনার কাজ অমর হয়ে থাকবে।


আরও পড়ুন-বর্ষীয়ান অভিনেতা মনু মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর