সৌমিতা মুখোপাধ্যায়: বাবা অঞ্জন চৌধুরীরর মৃত্যুর পর থেকেই বড়পর্দাকে বিদায় জানিয়েছেন অভিনেত্রী চুমকি চৌধুরী(Chumki Chowdhury)। প্রায় দু-দশক পর তিনি ফিরছেন বড়পর্দায়, ছবির নাম 'কুলপি', এই প্রথম নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রশ্ন: প্রায় একদশক পর কোন কারণে এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য রাজি হলেন?


চুমকি চৌধুরি: গল্পটা বেশ আলাদা। যদিও আমি প্রথমে রাজি হয়নি কারণ এটা নেগেটিভ চরিত্র, আমি আগে কখনও করিনি, দর্শক কীভাবে নেবে? তবে পরিচালক বর্ষালি জোরাজুড়ি করে, দর্শক ভালোবাসবে। ও আমাকে জোর করেই রাজি করিয়ে ফেলেছ।


প্রশ্ন:  আপনাকে সবসময় শান্ত, ধীর-স্থির চরিত্রে দেখা গেছে, সেখান থেকে নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করাটা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?


চুমকি চৌধুরি: বিষয়টা খুবই শক্ত ছিল আমার কাছে। আমি কখনও কারোর সঙ্গে ওভাবে কথা বলিনি। আমি কখনও জোরেও কথা বলি না। আমার নিজের ওভাবে বলে খারাপও লাগছিল। পরিচালক সন্তুষ্ট কিন্তু দর্শক কীভাবে গ্রহণ করবে সেটা নিয়ে চিন্তিত।


আরও পড়ুন: Hero Alom: কনস্টেবলের পোশাক পরে ডিআইজি এসপির চরিত্রে অভিনয়, বিপাকে হিরো আলম


প্রশ্ন:  প্রথমসারির নায়িকা থেকে কেন হঠাৎ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন?


চুমকি চৌধুরি:  বাবা চলে যাওয়ার পর আমি একদমই সিনেমার জগত থেকে সরে গিয়েছিলাম। আমার পুরো পৃথিবীটাই ছিল বাবা। বাবার হাত ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে আসা, অভিনয় করা, সেখানে বাবা ছাড়া আমি কাজ করছি ভাবতেই পারিনি। বাবা যখন চলে গেল তখন এরাও শত্রু চলছিল, ওটা ভাই দায়িত্ব নিল। আমি সেটে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাঁদতাম। সেট বসে থাকত। সেটা তো ঠিক নয়। বাবাকে ছাড়া আমি ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। তাই ভাবলাম, আর দরকার নেই, ছেড়ে দিই। ২০০৭ সালে বাবা চলে যাওয়ার পর ২০১৮ অবধি কাজই করিনি। এরপর ধারাবাহিক করি, তারপর এই ছবি।


প্রশ্ন:  বাবার পরিচালনা-প্রযোজনা ছাড়া অন্য কারোর ছবিতে কাজ করোনি কেন?


চুমকি চৌধুরি: আমি কখনও চাইনি আর বাবাও চাইতেন না আমরা অন্য কারোর সেটে কাজ করি। বাবার সঙ্গেই সব ছবি করেছি। অন্য অনেকে, বাবার সহ পরিচালকেরা নির্দেশনা দিয়েছে কিন্তু অন্য টিমে কাজ করিনি।


আরও পড়ুন: Malaika Arora: থার্মোমিটার থরথর! মার্জার-সরণিতে মালাইকা...


প্রশ্ন: কখনও কী অন্য ছবির অফার পেয়ে ইচ্ছে হয়েছে সেই ছবি করার?


চুমকি চৌধুরি: বাবাই সব সিদ্ধান্ত নিতেন। আমার কখনও মনে হয়নি অন্য কারোর সঙ্গে ছবি করি। তরুণজেঠুর (মজুমদার) ভালোবাসা ভালোবাসা ছবির অফার পেয়েছিলাম আর সুখেনজেঠুও (দাস) একটি ছবি করতে চেয়েছিল কিন্তু বাবা বলেছিল আমার মেয়ে আমার ইউনিটেই কাজ করবে। আসলে বাবার ছবি থেকে এত জনপ্রিয়তা পেয়েছি যে, আর কোনও ছবি করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করিনি।


প্রশ্ন: এতবছর পর ফিরেছ তুমি, ইন্ডাস্ট্রি কতটা বদলেছে?


চুমকি চৌধুরি: ইন্ডাস্ট্রি অনেকটাই বদলে গেছে। কাজের ধারা থেকে শুরু করে ছবির প্রোডাকশন, মেকিং বদলেছে। তবে এখন যে সিনেমা তৈরি হয়, তার গল্পে সমস্যা রয়েছে। আগে যে পারিবারিক গল্প নিয়ে ছবি হত, তার অভাব রয়েছে। পরিবারকেন্দ্রিক ছবি হলে মনে হয় ভালো হত। কনটেন্টের এই বদলটা না হলে ভালো হত।


আরও পড়ুন: #BoycottFlipkart, Sushant Singh Rajput: সুশান্তকে অপমান! ফ্লিপকার্টকে মরিয়া বয়কট ফ্যানেদের


প্রশ্ন: আগে অনেক ছবি ২৫ সপ্তাহ চলত, এখন ২৫ দিন চলতেই হিমশিম খেতে হয়...


চুমকি চৌধুরি: সিনেমাহল অনেক কমে গেছে। তথন মানুষের এত টিভি, মোবাইল ছিল না, হলে গিয়ে ছবি দেখত মানুষ। এখন আর যায় না। আমি সম্প্রতি একটা সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম, গিয়ে দেখলাম আমাদের নিয়ে সর্বসাকুল্যে ১৯ জন এসেছে। এরকম হলে ছবি কীভাবে চলবে।


প্রশ্ন: এটা কী কনটেন্টের জন্য বলেই মনে হয়?


চুমকি চৌধুরি:  হ্যাঁ, পারিবারিক কনটেন্টের অভাব বলে মনে হয়।


আরও পড়ুন: Mithun Chakraborty,Dev: পার্থকাণ্ডের মাঝেই দেবের বাড়িতে নৈশভোজে মিঠুন


প্রশ্ন:  আপনাদের সময়ে স্বজনপোষণ নিয়ে অনেকেই প্রথম সারির অভিনেতার দিকে আঙুল তোলেন, আপনি এই বিষয়ে কী বলবেন?


চুমকি চৌধুরি: আমার কখনও তাই মনে হয় না। প্রযোজক যদি চায়, তাহলে আর কী করা যাবে। সেসময় বুম্বাদা আর ঋতু খুবই হিট জুটি ছিল। দর্শকেরা পছন্দ করছিল, ছবি হিট হচ্ছিল, সেই কারণেই তো পরিচালক প্রযোজকরা নিচ্ছিল। যদি একটা দুটো ছবি মুখ থুবড়ে পড়ত তাহলে কী আর নিত! সফল বলেই ওঁদের নেওয়া হত। সেটাকে স্বজনপোষণ বলে আমার মনে হয় না। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)