জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সারা দেশ জুড়ে চুটিয়ে ব্যবসা করছে শাহরুখ খান(Shah Rukh Khan) অভিনীত ‘জওয়ান’(Jawan)। এই ছবিতে বেশ কিছু সামাজিক ইস্যু উঠে এসেছে ছবির প্লট ও সাব-প্লটে। সেখানে যেমন রয়েছে কৃষকদের দেওয়া ঋণে সুদের পরিমাণ এতটাই যে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয় দরিদ্র কৃষক, সেরকমই রয়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা থেকে সরকারের দুর্নীতি যার কারণে মৃত্যু হয় শিশুদের। এছাড়াও রয়েছে সেনাবাহিনীতে অস্ত্র কেলেঙ্কারির কথা, দুর্নীতির কথা, কালো ধনের প্রসঙ্গও। শিশুমৃত্যুর যে গল্প রয়েছে ছবিতে সেই গল্পে অনেকেই ছায়া খুঁজে পান ২০১৭ সালে গোরক্ষপুরের মর্মান্তিক শিশুমৃত্যুর (Gorakhpur Tragedy)। যার দায় পড়ে চিকিৎসক কাফিল খানের(Dr. Kafeel Khan) উপর ও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Aneek Dhar: ফের বাবা হলেন অনীক, শেয়ার করলেন সদ্যোজাতর ছবি, শুভেচ্ছা শুভশ্রীর...


ছবিতে সানিয়া মালহোত্রা অভিনীত চরিত্র ডাক্তার ইরম। তিনি যে সরকারি হাসপাতালে চাকরি করতেন সেখানে একদিন আচমকা শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয় প্রচুর শিশু। অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়। ছবির চিকিৎসক উচ্চ মহলে অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার করে বলতে থাকেন। কিন্তু কোনওভাবেই তা জোগাড় হওয়ার আশা না দেখে তিনি নিজেই অক্সিজেন খোঁজে বেরিয়ে পড়েন। লোকের পায়ে পড়ে অক্সিজেন সিলেন্ডার নিয়ে এসে দেখেন একাধিক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যিনি অক্সিজেনের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছিলেন তার ঘাড়েই দায় গিয়ে পড়ে। গ্রেফতার হয়ে তাঁকে দিন কাটাতে হয় জেলে। এই ছবির একটি অংশে সরকারকে চাপে ফেলে ঐ চিকিৎসককে বিচার পাওয়ায় ছবির আজাদ রাঠৌর।


ছবির গল্পের এই অংশের সঙ্গে অনেকেই খুঁজে পান বাস্তবের চিত্র। ২০১৭ সালে গোরক্ষপুরের এক হাসপাতালে ঘটে একইরকম একটি ঘটনা। একই রকম অক্সিজেন সংকট, ডাঃ কাফিল খানের নিজের চেষ্টায় অক্সিজেন সংগ্রহ, আর তারপর তাঁরই জেলে যাওয়া। সারা দেশ শিহরিত হয়েছিল সেই মর্মান্তিক শিশুমৃত্যুর ঘটনায়। এখনও পর্যন্ত বিচার পাননি ডা: কাফিল খান। এই মর্মান্তিক ঘটনার ছায়াই দর্শকেরা খুঁজে পান জওয়ানে। সেখানে অবশ্য শাস্তি পায় আসল দোষীরা। ছবিতে এই ঘটনা তুলে ধরার জন্য শাহরুখ, অ্যাটলি নির্মাতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডাঃ কাফিল খান।


আরও পড়ুন- Dev on Arun Roy: ‘তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠো অরুণদা’, ক্যানসার আক্রান্ত পরিচালককে আবেগী বার্তা দেবের...


এক্স তথা টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন চিকিৎসক কাফিল খান। সেই ভিডিয়োতে তিনি বলেন, ছবিটি তাঁর দেখা হয়নি, তবে বহু পরিচিত মানুষ তাঁকে মেসেজ করে ছবির কথা জানিয়েছেন। ছবির ঘটনা ও বাস্তবের সঙ্গে অনেকটা যে ফারাক আছে। ছবিতে ন্যায় মিললেও, বাস্তবে তিনি ও ৮১টি পরিবার এখনও সুবিচারের অপেক্ষায়। তবে এরকম একটা জ্বলন্ত সামাজিক ইস্যু যে শেষমেশ ছবিতে উঠে এসেছে এবং সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছেছে, তার জন্যই শাহরুখ খান ও পরিচালক অ্যাটলিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।



পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন যে গোরক্ষপুর শিশুমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তিনি একটি বইও লিখেছিলেন তিনি। হিন্দি, উর্দু, মারাঠী, তামিল, তেলুগু ভাষায় পাওয়া যায় সেই বই। ঘটনাটি ঘটেছিল প্রায় সাত বছর আগে। তাই অনেকের স্মৃতিতেই হালকা হয়ে গিয়েছিল এই ঘটনা। এবার ফের সেই স্মৃতি ফিরে এসেছে জনমানসে। এই ঘটনাকে ফের দর্শকের সামনে তুলে ধরার জন্য শাহরুখকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডা: কাফিল খান।


আরও পড়ুন- A R Rahman: কনসার্টে চরম বিশৃঙ্খলা, হেনস্থার শিকার মহিলা-শিশুরা, দায় স্বীকার করে রহমান বললেন...


প্রসঙ্গত, অ্যাকশন, রোমান্সে, সামাজিক বার্তার মিশেলে এই ছবির গল্প ও পরিচালকের আসনে বাজিমাত করেছেন অ্যাটলি। শাহরুখ ছাড়াও এই ছবিতে অন্যতম মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে বিজয় সেতুপতি, নয়নতারা, সানিয়া মালহোত্রা, প্রিয়ামণি ও দীপিকা পাড়ুকোনকে। ক্যামিও চরিত্রে রয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে দেখা যায় শাহরুখকে, গল্পে রয়েছে বেশ কয়েকটি টুইস্ট, সব মিলিয়ে দর্শকদের উত্তেজনা তুঙ্গে। একদিকে তিনি পুলিস অফিসার তো অন্যদিকে অপহরণকারী, একদিকে বাবা-ছেলে দুই ভূমিকাতেই তিনি। ছবির মিউজিকের দায়িত্বে রয়েছেন অনিরুদ্ধ রবিচন্দ্র। এই ছবির হাত ধরেই বলিউডে ডেবিউ করলেন নয়নতারা। অল্প সময়ের উপস্থিতি হলেও নজর কেড়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। কার্যত জওয়ান জ্বরে ভুগছে বলিপাড়া থেকে শুরু করে গোটা দেশ। 



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)