A R Rahman: কনসার্টে চরম বিশৃঙ্খলা, হেনস্থার শিকার মহিলা-শিশুরা, দায় স্বীকার করে রহমান বললেন...
A R Rahman Concert: ‘আমি কারোর দিকে আঙুল তুলতে চাই না। কারণ মানুষ আমার জন্য শোয়ে এসেছিল, ইভেন্ট সংস্থার জন্য নয়’। রবিবার চেন্নাইয়ে ছিল এ আর রহমানের কনসার্ট। সেই কনসার্টেই তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা। ইভেন্ট সংস্থআর বিরুদ্ধে ওঠে শ্লীলতাহানি থেকে শুরু করে টিকিট থাকা সত্ত্বেও শোয়ে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ। সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন এ আর রহমান।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চেন্নাইয়ে এ আর রহমানের(A R Rahman) কনসার্ট ঘিরে ধুন্ধুমারকাণ্ড। টিকিট কেটেও হলে ঢুকতে পারলেন না প্রচুর দর্শক শ্রোতা। রবিবার ছিল সেই কনসার্ট। একটি ইভেন্ট সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক। কনসার্টের নামকরণ করা হয়েছিল মারাকুমা নেনজাম। চেন্নাইয়ের আদিত্যরাম প্যালেসে বসেছিল এই সংগীতের আসর। কিন্তু কনসার্টে চোখে পড়ে চরম অব্যবস্থা। ভিড় সামলাতে হিমশিম খায় ইভেন্ট সংস্থা। এই অব্যবস্থার জন্য এক্স তথা টুইটারে ক্ষমাও চায় এই ইভেন্ট সংস্থা।
জানা যায় যে ভিড় এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে শুধুমাত্র যে টিকিট কেটে মানুষ হলে ঢুকতে পারেনি তাই নয়, পাশাপাশি একাধিক শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন মহিলারা, মা-বাবার থেকে ছোট শিশু হারিয়ে যাওয়ারও খবর আসে এই কনসার্ট থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় এ আর রহমান সহ ঐ ইভেন্ট সংস্থাকে। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন এ আর রহমান।
একটি পোস্ট করেন এ আর রহমান। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘যাঁরা এই অনভিপ্রেত পরিস্থিতিতে টিকিট কেটেও হলে ঢুকতে পারলেন না, দয়া করে আমাদের সঙ্গে আপনাদের কেনা টিকিট শেয়ার করুন। আমার টিম অত্যন্ত দুঃখিত, তাঁরা শীঘ্রই আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।’ সেই টুইট শেয়ার করে ইনস্টাগ্রামে রহমান লেখেন, ‘আমাকে অনেকেই বলেন G.O.A.T....সবার জেগে ওঠার জন্য তাহলে আমিই বলির পাঁঠা হই। চেন্নাইয়ের লাইভ আর্ট আরও উন্নত হোক, সঙ্গে থাকুক বিশ্বমানের পরিকাঠামো, পর্যটন বাড়ুক, ভিড় সামলানোর পরিকাঠামো তৈরি হোক, ভালো ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট দরকার, এমন কিছু দর্শক থাকুক যাঁরা নিয়মানুবর্তী, মহিলা ও শিশুদের জন্য থাকুক নিরাপদ ও নৈসর্গিক অভিজ্ঞতা, শুরু হোক সংস্কৃতির নবজাগরণ, উদযাপন করা হোক আমাদের শ্রেষ্ট ও উজ্জ্বল স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিভাদের।’
দ্য হিন্দুকে একটি সাক্ষাৎকারে সংগীত পরিচালক বলেন, ‘মানুষের সুনামি ছিল, যে পরিমাণ ভালোবাসা মানুষ জানিয়েছে তা আমরা সামলাতে পারিনি। কম্পোজার হিসাবে আমার কাজ অসাধারণ একটা শো করা। আমি ভেবেছিলাম বাকিটা ইভেন্ট সংস্থা সামলে নেবেন। আমি ভাবছিলাম শুধু যাতে বৃষ্টি না হয়, আনন্দে সঙ্গেই ভিতরে গান গাইছিলাম, জানতেই পারিনি যে হলের বাইরে কী তান্ডব হচ্ছে! আমাদের উদ্দেশ্য সঠিক ছিল, কিন্তু যে সাড়া আমরা পেয়েছি সেটা আমরা আশা করিনি। এখন আমরা ডেটা সংগ্রহ করছি। আমরা আমাদের ফ্যানেদের খুব শীঘ্রই একটা সারপ্রাইজ দেব।’
রহমান আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা ভীষণ রকম ডিস্টার্বড। নিরাপত্তা দেওয়াটা প্রাথমিক ইস্যু ছিল, যেখানে মহিলা ও শিশুরা ছিল। আমি কারোর দিকে আঙুল তুলতে চাই না। কারণ মানুষ আমার জন্য শোয়ে এসেছিল, ইভেন্ট সংস্থার জন্য নয়। কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি, চেন্নাইয়ের পরিধি অনেকটাই বেড়েছে। এই শহরের শিল্প ও সংগীতের প্রতি প্রেম আরও বেড়েছ।’