Tarun Majumdar Death: `আমাদের অভিভাবক ছিলেন, মাথার উপর থেকে চলে গেলেন`
অত্যন্ত যত্ন করে ছবি করতেন। আমি ওঁর স্ক্রিপ্ট দেখেছি। এত পরিচ্ছন্ন! উনি খুব ডিসিপ্লিনড্ ছিলেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বর্ষীয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদারের মৃত্যুসংবাদে স্পষ্টতই বিষণ্ণ বিচলিত বিহ্বল শহরের আর এক বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ।
মৃত্যুসংবাদ শুনে গৌতম ঘোষ জানান, 'আমি তো শকড্'। শুনেছিলাম উনি ভালো হয়ে উঠছিলেন। আমরা যাঁরা চলচ্চিত্র নির্মাণ করি, তাঁদের কাছে তো উনি অভিভাবক। তিনি আমাদের মাথার উপর থেকে চলে গেলেন। একটা বিরাট কেরিয়ার। নানা রকম ছবি করেছেন। নানা স্বাদের ছবি। নানা বিষয়ের ছবি। কোনও সন্দেহ নেই, ভদ্রস্থ শিক্ষিত ছবির (নির্মাণের ক্ষেত্রে) তিনি একজন পায়োনিয়র। অত্যন্ত যত্ন করে ছবি করতেন। আমি ওঁর স্ক্রিপ্ট দেখেছি। এত পরিচ্ছন্ন! উনি খুব ডিসিপ্লিনড্ ছিলেন। টলিউড নিয়ে যে স্মৃতিকথাটি রচনা করেছিলেন সেটি অসাধারণ। আমরা চিরকাল তাঁকে মনে রাখব।'
এরপর ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণে আসেন গৌতম ঘোষ। সেই প্রসঙ্গে গৌতম বলেন, 'একটা সময়ে যখন আমরা টলিউড যেতাম, দেখতাম উনি রেগুলার অফিসে বসতেন। আমাদের দেখলে উনি খুশি হতেন। আমাদের মতো জুনিয়রদের খুব শ্রদ্ধা করে কথা বলতেন। আমাকে চিরকাল আপনি করে কথা বলতেন। উনি খুব দামি সিগারেট খেতেন। (ওঁর কাছে গেলে) বলতেন, ইচ্ছে করছে একটা খেতে? খুব রসিক ছিলেন তরুণ মজুমদার।'
এরপর তরুণ মজুমদারের কাজের মূল্যায়নের প্রসঙ্গে আসেন গৌতম ঘোষ। গৌতম বলেন, 'সামাজিক বিষয় নিয়ে যখন ছবি করেছেন, খুব দায়িত্ব নিয়ে করেছেন, এই ধরনের চলচ্চিত্রকার জানি না, এখন কেউ আছেন কি না। তরুণ মজুমদারের ছবি একদিনের ৩/৪-টে শোয়ে হাউজফুল চলত! তিনি সিনেমাপাড়ার লোক ছিলেন। খুব অসুস্থ না হলে নিয়মিত অফিসে আসতেন।'
আরও পড়ুন: Tarun Majumdar Death : পলাতক জীবনপুরের পথিক