জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নির্বাচনের প্রচারে, এমনকী গতবার ভোটের দিনেও হামলার শিকার হয়েছেন হিরো আলম(Hero Alom)। কিন্তু দমে যাওয়ার পাত্র তিনি নন। আবারও ভোটে দাঁড়িয়েছেন তিনি কিন্তু এবারও ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে হামলার মুখে পড়লেন বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাংলাদেশের(Bangladesh) সবচেয়ে আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাংলাদেশের কাহালু বাজারে হিরো আলমের উপর হামলা হয়। সেই হামলায় আহত হন তাঁর দুই সঙ্গী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-Dunki Screening at Rashtrapati Bhavan: রাষ্ট্রপতি ভবনে ‘ডাঙ্কি’র বিশেষ প্রদর্শনী, শাহরুখের ছবিকে করমুক্ত করার দাবি...


আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী। তিনি ডাব মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর আগে শনিবার নন্দীগ্রামের মুরাদপুর বাজারে আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন হিরো আলম।


রবিবার রাত ৮টার দিকে হিরো আলম বগুড়া সদরের এরুলিয়ায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে জানান, পাঁচপীর এলাকায় প্রচারের শেষে ১০-১৫ কর্মী-সমর্থকসহ তিনি কাহালু বাজারে যান। এই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ও মৎস্য ব্যবসায়ী রমজান তাদের প্রচার চালাতে নিষেধ করেন। একপর্যায়ে রমজানের সঙ্গে উপজেলা তাঁতিলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা যোগ দিয়ে হিরো আলমে ওপর প্রথমে হামলা চালানো হয়। এই সময় তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়।


হাতাহাতির সময়ে তাঁর দুই সমর্থক মোরশেদুল রবি ও আব্দুস সালাম আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।হামলার ঘটনায় হিরো আলম কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন। তবে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘কাহালুতে আওয়ামী লীগের সরাসরি কোনো প্রার্থী নেই। তাই কারও সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর প্রশ্নই আসেনা। এইসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এর দায় সংগঠন নেবে না’। অন্যদিকে কাহালু থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, ‘হামলার ঘটনায় একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। আশরাফুল এখনও লিখিত অভিযোগ জানাননি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে’।


আরও পড়ুন-KRK Arrested: 'যদি মরে যাই জানবেন আমাকে খুন করা হয়েছে', গ্রেফতারির পর বিস্ফোরক KRK


হামলা প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ‘শনিবার নন্দীগ্রামে হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, এরপরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমাকে এত ভয় কেন? তাঁরা বুঝতে পেরেছে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বারবার তানসেনের পক্ষ নিয়ে আমার ওপর হামলা চালাচ্ছেন।হামলার সময় বিএনপির সাবেক এমপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জিউয়াউল হক মোল্লার দুজন সমর্থকও ছিলেন। তবে তাঁদের পরিচয় জানিনা। এই সব হামলা করে লাভ হবেনা। প্রয়োজনে আমাকে হত্যা করেন, তবে আমার কোনো সমর্থককে মারধর করবেন না। ভোটের শেষদিন পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকব। হিরো আলমকে হত্যা না করা পর্যন্ত ভোটের মাঠ থেকে সরানো যাবেনা। আজকের হামলার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করব। পাশাপাশি দুদিনের হামলার ঘটনা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানাব।’


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)