জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০১৮ সালে একটি সিনেমার পরিকল্পনা করেছিলেন পরিচালক ঋষিকেশ মন্ডল। সে সময় তাঁর ছবির নাম দেখেই ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন টাইটেল রেজিষ্ট্রেশনের অনুমতি দেয়নি। এবার সেই ছবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর শরনাপন্ন হতে চলেছেন পরিচালক। ছবিতে মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্রে তাঁর প্রথম পছ্ন্দ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, তবে এখনও অবধি কথা হয়নি অভিনেত্রীর। পরিচালকের ইচ্ছে যে, এই ছবিতে গানের সুর ও কথা লিখুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে ঋষিকেশ মন্ডল জানিয়েছেন, ‘’গত ২৪ শে জুলাই, আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সরকারের  বঙ্গবিভূষণ ও বঙ্গভূষণ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রসঙ্গ টেনে বললেন ‘আমি নিজে কোনও মাইনে নিইনা, আমি যা করি নিজের টাকায়, আমি খেটে ইনকাম করি। আমি বই লিখি, গানে সুর দিই’। বিশ্বাস করুন আমি চোখে জল ধরে রাখতে পারিনি, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা গুলো শুনে। সততা-শ্রদ্ধা আরও বেড়ে যায় ওঁর এই এসব ভাষণে! তাই, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার হিন্দি ছবির কাজটা সম্পুর্ন করেই, আমি আবার বাংলা ছবির কাজে ফিরে আসব’।


আরও পড়ুন: Jacqueline Fernandez: হঠাৎ কালীঘাটে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, জল্পনা...


হঠাৎ ছবির নাম কেন রাখেলেন এরকম? হৃষিকেশ জানিয়েছেন, চিত্রনাট্যে আচমকাই মুখ্যমন্ত্রীর জুতো চুরি হয়ে যায়, সবাই ভাবে এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। সেই জুতো পাবে রাস্তার এক কাগজকুড়ানি। কিন্তু সেই জুতোজোড়া বিক্রি না করে নিজের কাছেই রেখে দেয় সে এবং ক্রমশই হয়ে ওঠে প্রভাবশালী। এই নিয়েই এগিয়েছে গল্প। ২০১৮ সালে এই ছবির পোস্টারও তৈরি করে ফেলেছিলেন পরিচালক। পোস্টারে রয়েছে নীল সাদা হাওয়াই চটি, রয়েছে নবান্ন, রয়েছে দার্জিলিঙের ঝলক। ঋষিকেষ বলেন, ইম্পা ছাড়পত্র না দিলে তিনি বিএফটিসিসি-র দ্বারস্থ হবেন। প্রয়োজনে বলিউড থেকে ছাড়পত্র জোগাড় করে হিন্দিতে ছবি তৈরি করবেন। খুব শীঘ্রই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টায় রয়েছেন পরিচালক।


আরও পড়ুন: Vijay Deverakonda: কফির কাপে বিচিত্র যৌনতার ঢেউ তুলে শিরোনামে বিজয়


আরও পড়ুন: Pratik-Sonamoni: এবার বড়পর্দায় জুটিতে প্রতীক-সোনামণি!


ঋষিকেশ জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে জানান, ’মুখ্যমন্ত্রীর জুতো চোর’ নামে যে ছবিটা, গত ৪বছর আগে ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশনে টাইটেল রেজিষ্ট্রেশন করতে জমা দিলেও সেটা অনুমতি মেলেনি। আমি থমকে গেছিলাম। মিডিয়ার ও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির আমার অনেক বন্ধুই আমাকে এই ছবি করতে উৎসাহ যেমন দিয়েছিল, তেমনি ছবিটা না করতেও পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু,  এবার আমি সেই উদ্যোগ নিজেই নিচ্ছি এবং এই ছবির সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব আমি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দিতে চায়। সাধারণত, আমার রিলিজ হওয়া সব ছবি বা তৈরির পথে ছবি গুলোর মিউজিক ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকেন প্রধানত সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক সিধু ও সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এবার সেই স্বাদ বদল করার ইচ্ছা নিয়ে এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরের সৃষ্টিতে, একটা গোটা  নতুন বাংলা ছবির নতুন নতুন সঙ্গীত উপহার পেতেও ইচ্ছা একজন পরিচালক হিসাবে। এই প্রত্যাশা নিয়ে আমি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এই প্রস্তাব দিতে চায়। আমি খুব স্টার ফিল্ম মেকার নই। কিন্তু, আশা করি আমার স্টোরি ও চিত্রনাট্য শুনে বা পড়ে আমাদের প্রিয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভালো লাগবেই। এরপর, উনি আমার ছবিতে সুর দিতে চাইবেন কিনা সেটা ওঁর ব্যক্তিগত ইচ্ছা। তবে ওঁর যদি আমার এই ছবির গল্প - চিত্রনাট্য পছন্দ হয়, তবে আমি ওঁর সময়ের জন্য অপেক্ষা করতেও রাজি’।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)