`ঈশ্বর যখন মানুষের শরণে`, `লক্ষ্মী ছেলে`তে এমন গল্পই বলবেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনই উইনডোজ প্রোডাকশনের তরফে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ছবির পোস্টার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চোখে মুখে চিন্তার ছাপ, মুখে একাধিক কাটার দাগ। চুল কাটা এক্কেবারে ছোট ছোট করে। কোলে একটা ছোট্ট শিশু কন্যা। পরিচালক বাবা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবি লক্ষ্মী ছেলের পোস্টারে এভাবেই ধরা পড়লেন ছেলে উজান। রবিবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনই উইনডোজ প্রোডাকশনের তরফে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ছবির পোস্টার।
তবে অবশ্য শুনিবারই লক্ষ্মী পুজোর দিন টিম 'লক্ষ্মী ছেলে'র তরফে দর্শকদের জন্য বিশেষ উপহার পাঠানোর কথা জানিয়েছিলেন পরিচালক নিজেই। সেই মতোই পুজোর দিন সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের জন্য উপহার হিসাবেই সামনে এসেছে এই পোস্টার।
লক্ষ্মী ছেলের পোস্টারে সবথেকে বেশি নজর কেড়েছে উজান গঙ্গোপাধ্যায়ের কোলে শিশু কন্যাটি। যার ৪টি হাত নজরে পড়ছে। আর এখানেই যে লুকিয়ে রয়েছে গল্পের টুইস্ট, তা কিছুটা আন্দাজ করা যায়। পোস্টার থেকেই জানা যাচ্ছে সত্য ঘটনা অবলম্বনেই এগোবে ছবির গল্প। প্রযোজনা সংস্থার তরফে একই সঙ্গে বাংলা ও ইংরাজিতে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে ছবির পোস্টার।
আরও পড়ুন-বাড়ির লক্ষ্মীপুজো, নিজের হাতে ভোগ রাঁধলেন অর্পিতা
আরও পড়ুন-জিপের মধ্যে গুঁতো মারছে সিংহ, আফ্রিকার জঙ্গলের ভিডিয়ো পোস্ট রাজ-শুভশ্রীর
আমরা যাঁরা আস্তিক তাঁরা সাধারণত বিপদে পড়লেই ঈশ্বরের দ্বারস্থ হই। তবে এই ছবি এক্কেবারেই তার উলাটপুরাণ ঘটাতে চলেছেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। যদি ঈশ্বরই মানুষের শরণাপন্ন হন, তাহলে কী ঘটতে পারে? তেমনই একটা ভাবনা থেকেই পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর ছবি 'লক্ষ্মী ছেলে' বানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পাভেলের ছবি 'রসগোল্লা'তে অভিনয় করে সিনেমাপ্রেমীদের মন কেড়েছিলেন কৌশিক ও চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় পুত্র উজান। আর এবার তাঁকে দেখা যাবে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক তথা বাবা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনাতেই।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে এবিষয়ে ZEE ২৪ ঘণ্টা ডিজিট্যালের তরফে উজান গঙ্গোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাবার পরিচালনায় কাজ করা নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ''এই ছবিতে কাজ করার জন্য আমি ভীষণ উৎসাহী। এই সুযোগটা যে পাচ্ছি তার জন্য খুব আনন্দ হচ্ছে। উইনডোজ প্রোডাকশনের কাছে কৃতজ্ঞ আমায় সুযোগ দেওয়ার জন্য। এটা সত্যিই একটা বড় সুযোগ। ছোট থেকে বাবার টেলিফিল্ম থেকে শুরু করে তাঁর ছবি বানানো সবটাই দেখতে দেখতেই বড় হয়েছি। দুর্গম পথ ছিল তবে অভিনেতা ও পরিচালক হিসাবে বাবার (কৌশক গঙ্গোপাধ্যায়) উত্থান চোখের সামনে দেখেছি। বাবা হিসাবে, বন্ধু হিসাবে ওনার (কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়) প্রতি একটা ভালোবাসা ও সম্মান রয়েছে। এখন তাঁকে পরিচালক হিসাবে পাওয়ার যোগ্যতা আমার আছে কিনা এই মুহূর্তে আমি জানি না, কারণ আমি সবে একটা ছবি করেছি। উনি (কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়) যে আমার উপর আস্থা রেখেছেন, মনে করেছেন এই ছবিতে মুখ্য চরিত্র অভিনয় করতে পারবো এটা ভেবে আমার আনন্দ হচ্ছে। বাবার (কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়) উপর আস্থা আছে একটা খুব ভালো গল্প নিয়ে উনি ছবিটা বানাবেন। আমি আমার মতো করে যতটা সম্ভব ভালোভাবে কাজ করার চেষ্টা করবো।''
আরও পড়ুন-পুজোর ছুটি শেষে আফ্রিকার গভীর অরণ্যে দিন কাটছে দেব-রুক্মিণীর!