Madan Mitra on Nusrat Jahan: ‘যত প্রশ্ন এড়িয়ে যাবে ততই...’, নুসরতকে কটাক্ষ মদনের!
Nusrat Jahan: বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে নুসরত দাবি করেন, `শ্যুটিংয়ের জন্য আউটডোরে ছিলাম। তবে আমি কৈফিয়ৎ দিতে এখানে আসিনি। কৈফিয়ৎ তারা দেয়, যারা ভুল করে। আমি আপনাদের কাছে এসেছি, কারণ মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। এটি আদালতের বিচারাধীন বিষয়। এখন যে কেস কোর্টে পেন্ডিং আছে, সেই জুডিশিয়াল ম্যাটারে ইন্টারফেয়ার করা কোনও সভ্য সমাজের কাজ নয়।` নুসরতের এই অ্যাটিটিউড নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তাহলে সত্যিই কি জবাব নেই নায়িকার কাছে। এই বিষয়ে মুখ খুললেন মদন মিত্র।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২৪ কোটি টাকার দুর্নীতিতে(Scam) নাম জড়িয়েছে নুসরত জাহানের(Nussrat Jahan)। ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রতারণা, তার জেরেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। সোমবার সন্ধ্যায় প্রতারিতদের নিয়ে ইডির(ED) কাছে অভিযোগ দিতে চান বিজেপি(BJP) নেতা শঙ্কুদেব পান্ডা। সেখান থেকেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে এই দুর্নীতির কথা। ৪৮ ঘণ্টা পর এই বিষয়ে কথা বলার জন্য সাংবাদিক সম্মেলনের ডাক দিলেও মাত্র ৭ মিনিটে কার্যত কোনও প্রশ্নেরই ‘যথাযথ’ উত্তর না দিয়ে মিডিয়াকে দুষে প্রেসক্লাব ছাড়েন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন- Nusrat Jahan: 'ডাইভারশন অফ ফান্ড' ফিনান্সিয়াল ক্রাইম! দায় এড়াতে পারেন না নুসরত...
নুসরতের দাবি, 'এই কোম্পানি থেকে ২০১৭-র ১ মার্চ আমি রিজাইন করি। আমার বাড়ি দুর্নীতির টাকা দিয়ে কেনা নয়। এই কোম্পানি থেকে আমি লোন নিই। ১ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা লোন নিই। ২০১৭-র ৬ মে সুদ সহ ১ কোটি ৪০ লাখ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরৎ দিই এই কোম্পানিতে। সব ব্যাংক ডিটেইলস ও রেকর্ড আমার কাছে আছে। আমি কোনওদিনই এরকম কোনও কাজ না করেছি, না করব। ৩০০ শতাংশ চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, দুর্নীতির সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নয়। কোম্পানি আমাকে লোন দিয়েছিল। সেই লোন আমি সুদ সহ ফেরৎ দিয়েছি। ব্যাংক ডিটেইলস-এ তার ভেরিফায়েড প্রমাণ আছে। এখানে কোনওভাবেই কোনও রাজনৈতিক বিষয় নেই। রাজনীতির কোনও যোগ নেই।' এরপরে মিডিয়ার তরফ থেকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তর না দিয়েই বেরিয়ে যান।
নুসরতের দাবিতেই সব 'হিসেব' মিলছে না! কারণ যখন এই অপরাধটা হয়েছে, তখন ২০১৪ সালে তিনি কোম্পানির একজন অন্যতম ডিরেক্টর। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনি ওই কোম্পানির একজন অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন। ৩ বছর, ২০১৭ সালের মধ্যে ফ্ল্যাট দেওয়ার কথা ছিল! এদিকে ওই সময় তিনি ওই কোম্পানি থেকে লোন নিয়ে তাঁর ফ্ল্যাটটি কেনেন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তিনি ব্যাঙ্ক থেকে লোন না নিয়ে কেন কোম্পানি থেকেই লোন নিলেন? পদত্যাগ করলেই সব দায়মুক্ত হওয়া যায়? এই সব প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান।
এভাবে প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার পরেই নুসরতকে ঘিরেছে বেড়েছে সন্দেহ, উঠছে প্রশ্নও। এই বিষয়ে মদন মিত্র সংবাদমাধ্যমে বলেন, তাঁর মতে, কারোর বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ আসে সেটা আয়নার সামনাসামনি দাঁড়িয়ে ফেস করা উচিত। সে যত এই সব প্রশ্ন এড়িয়ে যাবে, তত মানুষের মনের মণিকোঠায় থাকবে যে কেন প্রশ্নটা এড়িয়ে গেল? তাঁর দাবি নুসরতের জায়গায় যদি তিনি হতেন, তাহলে ‘শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত শেষ উত্তর’ তিনি দিতেন। কারণ উত্তরটা না দিয়ে যাওযায় প্রশ্নটা প্রশ্নই থেকে যায়।