নিজস্ব প্রতিবেদন : ''আপনার মতোন আরো মানুষের প্রয়োজন নীলাঞ্জনা দেবী''।  এভাবেই নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়কে কুর্ণিশ জানালেন সাংসদ, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। শুক্রবার নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে টুইট করেন মিমি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়ের ছবি পোস্ট করে মিমি লেখেন, ''আপনার মতোন আরো মানুষের প্রয়োজন নীলাঞ্জনা দেবী .. আপনি অনুপ্রেরণা আমার এবং আমাদের মতো অনেক মেয়ের কাছে আজ। কুর্ণিশ জানাই আপনাকে... আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি''।



প্রসঙ্গত, বছর তিনেক আগে শো করে ফেরার সময় মিমি চক্রবর্তীর চোখের সামনেও খানিকটা একই ঘটনা ঘটেছিল। তেঘড়িয়ার কাছে মত্ত অবস্থায় এক গাড়ি চালক, বাইক আরোহীকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময়, একই রাস্তা দিয়ে ফিরছিলেন মিমিও।  অভিনেত্রী গাড়ি নিয়ে ওই চালকের পিছু নেন এবং তাঁকে পুলিসের হাতে তুলে দেন। সূত্রের খবর, মিমি চক্রবর্তী নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন, কিংবা ভিডিয়ো কলে কথা বলতে পারেন।


আরও পড়ুন-অরিন্দম শীলের 'মায়াকুমারী', নানান বেশে ধরা দেবেন 'কাননকুমার' আবির


শনিবার রাত ৮টা নাগাদ নয়াবাদের ফ্ল্যাটের সামনে থেকে হন্ডাসিটি করে আনন্দপুরের এক তরুণীকে নিয়ে ঘুরতে নিয়ে যান যাদবপুরের  অভিষেক পাণ্ডে। প্রথমে পাঁটুলির একটি রেস্তোরাঁয় যান তাঁরা। সেখানে খাওয়া-দাওয়া সেরে বাইপাসের আশপাশে ঘোরাঘুরি করেন কিছুক্ষণ। তারপর অজয়নগর, গড়িয়া, কালিকাপুর হয়ে যান আনন্দনগর। এরপর ওই তরুণী তাঁকে তাঁর নয়াবাদের বাড়িতে ছাড়ার কথা বললে চৌবাঘার দিকে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত অভিষেক। অভিযোগ বাধা দিতে গেলে চলন্ত গাড়িতেই মারধর করা হয় তরুণীকে।


উল্লেখ্য, আনন্দপুরকাণ্ডে ওই নির্যাতিতা মহিলাকে বাঁচাতে গিয়েই গুরুতর জখম হন নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়। গত সোমবার তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে বলেই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেও জানিয়েছিলেন তাঁরা। নীলঞ্জনা দেবীর সাহসের প্রশংসা করেছেন খোদ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাজ্য সরকার তাঁর সমস্ত চিকিৎসার খরচ বহন করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিস কমিশনার।


আরও পড়ুন-সীতার বেশে মধুমিতা, রাবণের সঙ্গে দেখা যাবে মহালয়ার সকালে