Mukesh Khanna, Shahrukh Khan, Deepika Padukone, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো : 'পাঠান'-এ শাহরুখ-দীপিকার 'বেশরম রং' গানটি মুক্তির পর থেকেই ট্রেন্ডিং। আবার এই গানের কারণেই তীব্র আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে শাহরুখ-দীপিকাকে। গানটি ঘিরে অশ্লীলতার অভিযোগ এনেছেন অনেকেই। বিজেপি নেতৃত্ব এবং হিন্দু সংগঠনগুলি এই গানে দীপিকার গেরুয়া বিকিনি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। এই গানটি নিয়ে হিন্দু সংগঠনগুলির নানান হুমকির মুখে পড়ছে শাহরুখ-দীপিকার 'পাঠান'। আপত্তি তুলেছে, মধ্য়প্রদেশের ইসলামিক সংগঠন উলেমা বোর্ড। এবার 'বেশরম রং' গানটি নিয়ে অশ্লীলতার অভিযোগ আনলেন পর্দার 'শক্তিমান' মুকেশ খান্না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

'বেশরম রং' গানটি নিয়ে একধাপ এগিয়ে খোদ সেন্সর বোর্ডের দিকেই আঙুল তুলেছেন মুকেশ খান্না। তাঁর প্রশ্ন গানটি অশ্লীল হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে সেন্সর বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন (CBFC) কীভাবে গানটি পাস করল? মুকেশ খান্নার কথায়, 'এটা তো স্পেন, সুইডেন নয়, যে সবকিছুতেই অনুমতি দেবে? এখন স্বল্প পোশাকে দেখা যাচ্ছে, পরে পোশাক ছাড়াই সামনে আসবে।' এখানেই শেষ নয় 'শক্তিমান'-এর অভিযোগ, 'এই গান যুব সম্প্রদায়ের মাথা ঘুরিয়ে দেবে। এই গানটি তো আর OTT-র জন্য তৈরি হয়নি, এটা সিনেমার গান। সেন্সর বোর্ডের কাজই হল যাতে কারো ভাবাবেগে আঘাত না লাগে, কিংবা কোনও কিছু উস্কানিমূলক না হয়, সেটি মাথায় রাখা। তাহলে কীভাবে এই গান মুক্তির অনুমতি দিল সেন্সর বোর্ড?'


এদিকে 'পাঠান'-এর 'বেশরম রং' নিয়ে এধরনের মন্তব্য করায় শাহরুখ অনুরাগীদের আক্রমণের মুখে পড়েছেন পর্দার 'শক্তিমান' মুকেশ খান্না। কেউ বলেছেন, এক ব্যক্তি লিখেছেন, 'এদেশে এমন নীতিবাদী রাজনীতিবিদের প্রয়োজন নেই, এটা একটা স্বাধীন দেশ, তাই আপনার মতো নীতিবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা বিদায় নিতে পারেন।' কারোর কটাক্ষ, 'এই যে হতাশাগ্রস্ত কাকু, পোশাক নিয়ে জ্ঞান না দিয়ে নিজের ভাবনা বদলান।' কারোর মন্তব্য, 'পেনশনভোগী হয়ে প্রচারের আলো পেতে চলে এসেছেন।' কারোর কথায়, 'আসলে ওঁরও ইচ্ছা ছিলএই চরিত্রে অভিনয় করার, যদি পেতেন, তাহলে কোটি টাকা হাঁকাতেন। পেলে উনিও এই একই কাজ করতেন।'



এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় 'পাঠান' বয়কটের যে ডাক উঠেছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে তার উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন শাহরুখ খান। কিং খান বলেন, কিং খান বলেন, 'সমাজের সমষ্টিগত আখ্যান সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই উঠে আসে কিন্তু এই চিন্তাধারার উল্টোটাই ঘটছে বর্তমানে। সোশাল মিডিয়ার নেতিবাচক দিকগুলি সিনেমার ক্ষতি করছে। আমি মনে করি সিনেমার আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সোশ্যাল মিডিয়া মাঝে মাঝেই কিছু নেতিবাচক মানসিকতার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়ে। আমি কোথাও পড়েছি- নেতিবাচকতা সামাজিক মিডিয়ার কমারশিয়াল মূল্য বাড়ায়। সেই কারণেই সমষ্টিগত আখ্যান চাপা পড়ে যায় এবং সেটাকে ধ্বংসাত্মক করে তোলে। আমরা অনেকদিন দেখা করতে পারিনি। কিন্তু এখন পৃথিবীতে সব স্বাভাবিক হয়েছে। আমরা সবাই আনন্দিত। সারা পৃথিবী যাই করুক, আমি এবং আপনি ও আমাদের মতো যাঁরা পজিটিভ মানুষেরা রয়েছি, তাঁরা এখনও বেঁচে আছি।'


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)