পরিচালক নন, সুন্দরবনের দুঃস্থ মানুষের চিকিৎসায় ডাক্তার কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়
আমফান বিধ্বস্ত বিভিন্ন গ্রামের অসহায় মানুষগুলোকে দেখে আর ঠিক থাকতে পারেন নি ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : নেশা ছেড়ে ফিরে এলেন পেশায়। তাও আবার ১৪ বছর পর। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, পেশায় একজন চিকিৎসক। কিন্তু সিনেমা তৈরির নেশায়, পেশা ছেড়েছিলেন। কিন্তু আমফান বিধ্বস্ত বিভিন্ন গ্রামের অসহায় মানুষগুলোকে দেখে আর ঠিক থাকতে পারেন নি ।
আমফান বিধ্বস্ত বিভিন্ন গ্রামের প্রান্তিক মানুষদের চিকিৎসা শিবিরে চিকিৎসকের ভূমিকায় দেখা গেল পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়কে। গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে অসহায় মানুষগুলোর চিকিৎসা করছেন পরিচালক। ফেসবুকের মাধ্যমে এই খবর প্রথম প্রকাশ্যে আসে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে, আমফানের ধাক্কায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন সহ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন গ্রামের মানুষের চিকিৎসা করছেন কমলেশ্বরবাবু।
সেই ছবির স্টেটাসে পরিচালক লিখেছেন, " গত দশকে আয়লা যেমন এই অঞ্চলের মানুষের ও অরণ্য-বাস্তুর যে ক্ষতি করেছিল, এই দশকে আমফান তার দ্বিগুণ তছনছ করে দিয়ে গেছে এলাকার জনজীবন ও নিসর্গ বিন্যাস। সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় হল যখন বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী-এর সংক্রমণে সার্বিকভাবে মানুষকে পর্যদুস্ত করছে এবং দেশের-রাজ্যের অর্থনীতি অথৈ জলে তখন প্রকৃতি নিঃস্ব ভাতের পাতে ঝড় দিল। আর তাতেই রাজ্যের প্রান্তিক মানুষের দুর্দশা আজ চরমে পৌঁছেছে।"
এই প্রান্তিক মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর সমবেত উদ্যোগ নিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম, শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ, আস্থা ,ডক্টর ভাস্কর রাও, জনস্বাস্থ্য কমিটি সহ আর বেশ কয়েকটি সংগঠন। এদের উদ্যোগে তৈরি চিকিৎসা শিবিরে প্রতিদিন প্রায় ২০০ জন রোগী দেখছেন পরিচালক চিকিৎসক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, ১৪ বছর আগে কলকাতার নামীদামি হাসপাতালে চিকিৎসক থাকাকালীন কমলেশ্বরবাবু অসহায় মানুষগুলোকে নানাভাবে সাহায্য করতেন। ফের একবার অসহায় মানুষগুলির জন্যে এগিয়ে এলেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।