রাজপুতের বীরত্ব,পদ্মিনীর স্বর্গীয় রূপের মাঝেও ঝলসে উঠছে খিলজির হিংস্রতা
ওয়েব ডেস্ক: থরে থরে সেনা সাজানো। ঘোড়ায় চড়ে সাম্রাজ্যে এসে পৌঁছলেন রাজা মহারাওল রতন সিং। তারই মাঝে দেখা মিলল রানি পদ্মিনীর, মুগ্ধ করল তাঁর স্বর্গীয় সৌন্দর্য। রানির সঙ্গে রাজা মহারাওল রতন সিং এর মুখোমুখি দেখা, ঘনিষ্ঠতা বুঝিয়ে দিল তাঁদের সম্পর্কের গভীরতা। তারপর ধীরে ধীরে পরিচয় হল গোটা চিতোর সাম্রাজ্যেরই।
ঠিক তখনই সামনে এলেন আলাউদ্দিন খিলজি। প্রথম দর্শনেই তাঁর হিংস্রতা স্পষ্ট। ভয়ানক কঠিন একটা রূপ।
তবে তাঁর হিংস্রতাকে টেক্কা দিল রাজা মহারাওল রতন সিং-এর ডায়ালগ... ''চিন্তা কো তলওবার কী নখ পর রাখে বো রাজপুত, রীত কী নাও লেকর সমন্দর সে শর্ত লাগায়ে বো রাজপুত, জিসকা সর কাটে ফিরভি ধর দুশমন সে লড়তা রহে ও রাজপুত।''----রাজা মহারাওল রতন সিং এর এই ডায়লগে স্পষ্ট করে দেয়, তিনি রাজপুতদের বীরত্ব, তেজ, সাহস ও আত্মসম্মান বোধ ও শক্তির প্রতীক।
পাশাপাশি রাজপুত পুরুষদের থেকে রাজপুত মহিলাদের আত্মসম্মান বোধ, সাহসিকতাও যে কোনও অংশ কম নয় তারই প্রমাণ রাখল রানি পদ্মিনীর ডায়ালগ, তাঁর মুখে শোনা গেল ''রাজপুতি কঙ্গন মে উতনিহী তাকাত হ্যায়, যিতনি রাজপুতী তলওবার মে হ্যায়।''
সবমিলিয়ে পরিচালকের বিরুদ্ধে রাজপুতদের ছোট করার বা ইতিহাসকে খাটো করার যে অভিযোগ উঠেছে, ট্রেলার দেখে অন্তত তেমন কিছু মনে হল না। উল্টে সেখানে রাজপুতদের বীরত্বকেই তুলে ধরা হয়েছে বলে মনে হল। অপেক্ষা রইল ১ ডিসেম্বর সিনেমা মুক্তির।
আরও পড়ুন- সঞ্জয় লীলা বনশালিকে হিংসে করি : করণ জোহর