Parambrata Chatterjee, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পার। এদেশের স্বাধীনতা বহু বাঙালির রক্তে রাঙা। সেসময় দেশকে স্বাধীন করতে এই বাংলার মাটিও হয়ে উঠেছিল অগ্নিগর্ভ, বাংলার আকাশে তখন বারুদের গন্ধ। যাঁর আঁচ পৌঁছেছিল আদালত পর্যন্ত। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের এই ইতিহাসে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, প্রফুল্ল চাকী, ক্ষুদিরাম বসু, ঋষি অরবিন্দ, বারীন ঘোষ, শ্রীশচন্দ্র ঘোষ, কানাইলাল দত্ত, সত্যেন বসু, বিনয়, বাদল, দীনেশ সহ আরও অনেক নাম ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। তবে এই সংগ্রামের বহু কথাই এখনও অনেকের অজানা। তেমনই কিছু অজানা গল্প নিয়েই এবার ছবি বানাতে চলেছেন পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। ছবির নাম 'বারুদ ও আদালত'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার, ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের দিনে নিজের নতুন ছবির কথা ঘোষণা করেন পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। ছবির নাম ঘোষণার সঙ্গে ফেসবুকে পরমব্রত লেখেন, 'ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ে বাংলা ও বাঙালির অবদানের এক গুরুত্ত্বপূর্ণ কিন্তু অপেক্ষাকৃতভাবে  কম চর্চিত অধ্যায়ের কথা বলবে আমাদের এই ছবি, এমনটাই উদ্দেশ্য। আজকের বিশেষ দিনে এই ঘোষণা করতে পেরে, আমরা আনন্দিত, গর্বিত! বড়ো পর্দায় দেখা হবে ১৫ই অগাস্ট ২০২৩ এ! স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ও আলিঙ্গন সবাইকে!' এর সঙ্গে ছোট্ট একটি টিজারও শেয়ার করেন অভিনেতা। যে ভিডিয়োতে উঠে আসে টুকরো টুকরো কিছু ছবির কোলাজ। যেখানে দেখা যায় অমৃতবাজার পত্রিকা, যুগান্তের মতো সেসময়কার কিছু নামী সংবাদপত্র, যেখানে সেইসমস্ত বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কর্মকাণ্ড উঠে এসেছিল। সঙ্গে উঠে আসে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, ঋষি অরবিন্দ, এবং গ্রেফতারের আগের মুহূর্তে তোলা কানাইলাল দত্ত, সত্য়েন বসুর ছবি। হ্যাজ ট্য়াগে দেওয়া হয়েছে 'অরবিন্দ ঘোষ', 'দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ', আর 'আলিপুর বোমা মামলা'। এথেকেই অনুমান করা যায়, পরমব্রত-র ছবিতে উঠে আসবে ১৯০৮ -১৯০৯ পর্যন্ত চলা আলিপুর বোমা মামলার কথা। আবার টিজারে রয়েছে কানাইলাল দত্তের ছবি, যাঁর নাম জড়িয়েছিল কিংসফোর্ড হত্যা মামলায়। 


আরও পড়ুন-'দিদা, ঠাকুমার সঙ্গে খোশগল্প', ছেলের নতুন ছবি দিলেন পরীমনি



আরও পড়ুন-স্বাধীনতার ৭৫-এ শহিদস্মরণে শাহরুখ, মন্নতে উড়ল তেরঙা


প্রসঙ্গত, ৩০ এপ্রিল ১৯০৮-এ মুজাফফরপুর, বিহারে রাত সাড়ে আটটায় ইওরোপিয়ান ক্লাবের সামনে বোমা ছুড়ে তিনজনকে হত্যা করেন ক্ষুদিরাম বসু। সেই ঘটনার পরা এই মামলা শুরু হয়। আবার ৩০ এপ্রিল, বোমা হামলার ঘটনার পরে ২ মে ৩২ নং মুরারীপুকুরের বাগানবাড়ি তল্লাশি করে পুলিস বোমার কারখানা খুঁজে পায়। পরে মামলা শুরু হয় ২১ মে ১৯০৮ তারিখে। ১৯০৯ সালের ৬ মে আলিপুর বোমা মামলার রায় দেওয়া হয়। রায়ে বিচারক বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, ও উল্লাসকর দত্তকে মৃত্যুদণ্ড দেন। উপেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমচন্দ্র কানুনগো, বিভূতিভূষণ সরকার, বীরেন্দ্র সেন, সুধীর ঘোষ, ইন্দ্রনাথ নন্দী, অবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্য, শৈলেন্দ্রনাথ বসু, হৃষিকেশ কাঞ্জিলাল, ইন্দুভূষণ রায়ের দ্বীপান্তর হয়। পরেশ মৌলিক, শিশির ঘোষ, নিরাপদ রায় ১০ বছর দ্বীপান্তর, অশোক নন্দী, বালকৃষ্ণ হরিকোণে, শিশির কুমার সেনের ৭ বছর দ্বীপান্তর এবং কৃষ্ণজীবন সান্যালের ১ বছর কারাদণ্ড হয়। পরে আপিলে বারীন্দ্রকুমার ঘোষ ও উল্লাসকর দত্তের মৃত্যুদণ্ড রহিত হয়, বদলে যাবজ্জীবন দ্বীপান্তর হয়। তবে অরবিন্দ ঘোষ মুক্তি পান এবং অনেকের সাজা হ্রাস করা হয়। স্বাধীনতার ইতিহাসের সেই সব ঘটনায় পরমব্রতর ছবিতে উঠে আসবে বলে অনুমান করা টিজার দেখে অনুমান করা যায়।


এর আগে পরমব্রতর পরিচালনায় 'তিতিকাকা', 'অভিযান'-এর মতো ছবি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)