নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনার চিকিৎসায় প্লাজমা দিতে চেয়েছিলেন গায়িকা কণিকা কাপুর। তবে কণিকা কাপুরের প্লাজমা করোনার চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিল লকখনউ-এর কিং জর্জস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত মাসেই কোভিড-১৯ থাবা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলিউড গায়িকা কাণিকা কাপুর। সেসময়ই করোনার চিকিৎসার জন্য প্লাজমা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন কণিকা। তখন তাঁর রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায়, হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় কম। সেকারণেই চিকিৎসকরা গায়িকাকে আরও বেশকিছুদিন অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। পরে কণিকা আবারও লখনউ-এর কিং জর্জস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে ফের রক্তের নমুনা পাঠিয়েছিলেন। তবে সেটা পরীক্ষা করার পর গবেষকরা জানিয়ে দিয়েছেন, কণিকা কাপুরের প্লাজমা কোনও কাজে লাগানো যাবে না। আর সেটা কণিকা কাপুরের পরিবারের পূর্ব রোগভোগের ইতিহাস থাকার কারণেই।


আরও পড়ুন- লকডাউনে 'দূরে থাকা কাছের মানুষ'-কে ফিরে পেলেন বিক্রম ও মিথিলা



আরও পড়ুন-লকডাউনের মধ্যেই দীর্ঘদিনের বন্ধু, ছায়াসঙ্গী আমোস-এর শেষকৃত্যে আমির


গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্লাজমা দাতার রক্তে হিমোগ্লোবিন নূন্যতম প্রতি ডেসিলিটর ১২.৫ গ্রাম হতে হবে। এছাড়াও ওজন ৫০ কেজির উপরে হতে হবে। এছাড়াও তাঁর ম্যালেরিয়া, কার্ডিও ডায়াবেটিস, সিফিলিস-এর মতো কোনও রোগের ইতিহাস থাকলে চলবে না।


PTI-কে কিং জর্জস মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ট্রান্সফিউসন মেডিসিন বিভাগের প্রধান ড: তুলিকা চন্দ্রা জানিয়েছেন, ''কণিকা প্লাজমা দিতে চেয়েছিলেন, তবে তাঁর পরিবারের রোগভোগের ইতিহাসের কারণেই তাঁর প্লাজমা নেওয়া হচ্ছে না। তবে কণিকার পরিবারের ঠিক কী মেডিক্যাল হিস্ট্রি রয়েছে, তা বলা যাবে না, কারণ, সেটা আইন বিরুদ্ধে। তবে কণিকার প্লাজমা রোগীর চিকিৎসায় কাজে না লাগানো গেলেও গবেষণায় কাজে লাগতে পারে।''