জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছোটবেলাতেই হারিয়েছেন বাবা-মাকে। সম্প্রতি দূরে চলে গেছেন স্বামী শরিফুল রাজও। ছেলে রাজ্য ছাড়া পরীমণির(Pori Moni) একমাত্র কাছের মানুষ ছিলেন তাঁর দাদু অর্থাৎ মায়ের বাবা শামসুল হক গাজী। এবার তিনিও হাত ছাড়লেন পরীর। বৃহস্পতিবার রাত ২টা ১১ মিনিটে ঢাকার এক বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেখানেই প্রয়াত হলেন পরীমণির ‘নানা’। কিছুদিন আগেও নানুর সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছিলেন অভিনেত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Rajkumar Kohli Death: ইন্দ্রপতন! প্রয়াত রাজকুমার কোহলি...


অভিনেত্রীর পোস্ট করা ছবির দৌলতে তাঁর নানাও সবার কাছে পরিচিত মুখ ছিলেন। পরীমণির ব্যক্তিগত ও সামাজিক কাজের মাধ্যমেই তাঁকে চিনতেন সবাই। একই সঙ্গে শামসুল হক গাজী বেশ কয়েকবছর ধরে তার প্রিয় নাতনি পরীমণির সঙ্গে থাকতেন। ছোটবেলাতে মা-বাবাকে হারিয়েছেন পরী। নানা সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেছেন যে এই দাদুই তাঁকে বড় করেছেন। তাই পরীও সবসময় আগলে রেখেছেন তাঁকে। বেশ কয়েকবছর ধরে অভিনেত্রীর সঙ্গেই থাকতেন তিনি।


গত ১২ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শামসুল হক গাজী। সে সময় তার একটি ছোট অপারেশনও হয়েছিল। বিষয়টি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে জানিয়েছিলেন পরীমণি নিজেই। এ ছাড়া অপারেশনের আগের দিন পরীমণি হাসপাতালে রাজ্যর সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল নানার একটা ভিডিও শেয়ার করেন। ক্যাপশনে লেখেন, ‘এই যারা বলেন, আমার এত মনের জোর কোথায় পেয়েছি! এই যে দেখেন এটা হলো বংশীয় ধারা। ছোট খাটো একটা ওটি (অপারেশন) হবে আমার নানার। দোয়া করবেন।’ সেই সময়েই এক সংবাদ সম্মেলনে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘নানার এখন যে অবস্থা, কখন যে কী ঘটে যায়, বলা যায় না। আমি আসলে ভাবতেই পারছি না। নানা না থাকলে আমার যে কী হবে। কীভাবে থাকব আমি!’


আরও পড়ুন- Nobleman: নোবেলের কোলে উঠে ঠোঁটে চুমু, বউকে দেখে কেঁদে ভাসালেন নাদিম...


জানা যায়, অসুস্থ ছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন হাসপাতালেও। বৃহস্পতিবার রাত ২টা ১১ মিনিটে হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পরীমণির নানা। তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। পরিচালক যাকে পরী মা বলে সম্বোধন করেন, তিনি জানান, পরীমণির নানার মরদেহ গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ইকড়ি ইউনিয়নের শিংখালীতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।


এক ফেসবুক পোষ্টের মাধ্যমে পরী ঘনিষ্ঠ পরিচালক জানান, ‘পরীমণির প্রিয় নানুভাই রাত ২টা ১১ মিনিটে ২৪ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালের আই সি ইউ তে চিকিৎসারত অবস্থায় সবাইকে কাঁদিয়ে আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে গিয়েছেন। আজাদ মসজিদে গোসল করানোর পর ভোর ৪টায় পরীমণির নানুভাইকে নিয়ে এখন তাঁর নিজ গ্রামের পথে। সেখানেই নানীর পাশে নানুভাইকে শায়িত করা হবে।’ কার্যতই ভেঙে পড়েছেন পরী।


আরও পড়ুন- Casting Couch: ‘সুপারস্টারের সঙ্গে শুতে চাইনি, তাই রোজ রাতে আমার ঘরের দরজায় ...’


মরদেহবাহী গাড়ির পেছনে আরেকটি গাড়িতে করে ভান্ডারিয়ায় যাচ্ছেন পরীমনি। গাড়িতে আছেন পরীমনির পরিবারের সদস্যরাও। এর বাইরে আছেন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরীও। চয়নিকা চৌধুরী বললেন, ‘পরীমনি কী হারিয়েছে, তা শুধু সে-ই জানে। এই নানা তাঁর জীবনের কী ছিল, তা আমরা দেখেছি। মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত হয়ে আছে পরীমনি। জানি না, এই শোক সইবে কী করে পরী।’



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)