রণিতা গোস্বামী :  তাঁর লেখা 'চাঁদের বাড়ি' উপন্যাস ও 'ভালোবাসার বাড়ি' গল্প অবলম্বনে ছবি বানিয়েছিলেন তরুণ মজুমদার ( Tarun Majumdar)।  আর এই দুটি ছবিই ওঁর শেষ ছবি হয়ে রয়ে গেল। Zee ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে কথা বলার সময় আক্ষেপ ধরা পড়ল সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্তের কথায়।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত বলেন, তরুণ মজুমদার নেই, এই খবরটা যখন শুনি, বিশ্বাসই হয়নি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ভেবেছিলাম, উনি ভালো হয়ে উঠছেন। খুব আশা ছিল, উনি আবারও কাজ করবেন। তবে যা ঘটার তা তো ঘটবেই। তাতে কারোর হাত নেই। তরুণ মজুমদারের শেষ দুটি কাহিনিচিত্র, 'চাঁদের বাড়ি' আর 'ভালোবাসার বাড়ি', আমার লেখা থেকে উনি বানিয়েছেন। এটা ওঁর শেষ দুটি কাহিনিচিত্র, এই কথাটা বলতেই খুব খারাপ লাগছে। 'চাঁদের বাড়ি' আর 'ভালোবাসার বাড়ি' ওঁর শেষ দুটি কাহিনিচিত্র না হলেই আমি খুশি হতাম।


আরও পড়ুন-''রবীন্দ্রসংগীতকে সর্বজনীন করেছেন তরুণ মজুমদার''


আরও পড়ুন-বাংলা সিনেমার মণিমুক্তো যে ছয় তরুণ-ছবি


আরও পড়ুন- 'বাংলা ছবির স্তম্ভ, আমার শিক্ষক ছিলেন তনু জ্যেঠু', প্রসেনজিৎ


প্রচেত গুপ্তের কথায়, তরুণ মজুমদার তিন প্রজন্মের সুস্থ, শিক্ষিত, রুচিসম্মত বাঙালির হৃদয়ে স্থান পেয়েছেন। এমন বহু বাঙালি পরিবার রয়েছে যেখানে পিতা, ছেলে এবং নাতি তিন প্রজন্মই তরুণ মজুমদারের ছবির ভক্ত। তরুণ মজুমদার বাংলা ছবির সেই স্বর্ণযুগের পরিচালক, যেসময় সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, তপন সিনহা ঋত্বিক ঘটকের মতো পরিচালকরা ছিলেন। সেসময়ই তরুণ মজুমদার এবং রাজেন তরফদাররা ছবি বানাতে শুরু করেন। এরাঁ সকলেই বাংলা সাহিত্যকে অবলম্বন করে ছবি বানিয়েছেন। আমি একজন সামান্য লেখক হিসাবে বলছি, আমার কাহিনি নিয়ে যখন উনি ছবি করেছেন, তখন উনি গল্পের ভিতরে ঢুকে গিয়েছেন।  গল্পের চরিত্র, ঘটনা, সম্পর্ক, সাহিত্যের রূপ রসকে স্পর্শ করে তবেই তিনি এগিয়েছেন। তখনই বুঝেছিলাম, ওঁর মতো সাহিত্য বোদ্ধা খুব কম দেখেছি। আমার থেকে বয়সে উনি গুরুজন, গুণে মানে তো অনেক বড় ব্যক্তিত্ব। তবে ওঁকে মহীরূহ বলে দূর থেকে দেখি নি, উনি আমার বন্ধু ছিলেন এবং থাকবেন। উনি এমন বন্ধু, যাঁকে আমি সশ্রদ্ধ প্রণাম করি বারবার।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)