Tarun Majumdar Death: 'বাংলা ছবির স্তম্ভ, আমার শিক্ষক ছিলেন তনু জ্যেঠু', প্রসেনজিৎ
দেশের বাইরে রয়েছে অভিনেতা প্রেসনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে কিছুটা বিধ্বস্তই শোনালো ইন্ডাষ্ট্রিকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দ্রুত কাজে ফেরার আশ্বাস দিয়েছিলেন। অনেক সিনেমা করা বাকি ছিল যে তাঁর। কিন্তু কথা রাখলেন না। চলমান চিত্রের চিরকালীন সম্পদ রেখে চলে গেলেন কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদার (Tarun Majumdar)। প্রথম জীবনে রসায়নের ছাত্র ছিলেন, শেষপর্যন্ত রসসৃষ্টিতেই সিদ্ধিলাভ করলেন।বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি করে চলে গেলেন। রেখে গেলেন তাঁর অবিস্মরণীয় সৃষ্টিসম্ভার।
দেশের বাইরে রয়েছে অভিনেতা প্রেসনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে কিছুটা বিধ্বস্তই শোনালো ইন্ডাষ্ট্রিকে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''যে পরিচালকদের নিয়ে বাংলা সিনেমা গর্বিত হতাম সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, অজয় কর আরও অনেকে তাদের মধ্যে শেষ মানুষ যিনি ছিলেন তিনি আজ চলে গেলেন। বয়স হয়েছিল অবশ্যই। ওঁর কাছ থেকে শিখেছি। আমার শিক্ষক। আমাদের বাংলা ছবির স্তম্ভ উনি। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আমায় জানালেন তনু জ্যেঠু চলে গিয়েছেন। ওঁর কাজ থেকে যাবে। আমরা যা আজ করতে পারছি সবটাই আপনার শেখানো। ভাল থাকবেন আপনি।''
তরুণ মজুমদারের পরিচালনায় 'পথভোলা', 'আপন আমার আপন'-এর মতো ছবিতে দেখা গিয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। গত ১৪ জুন থেকে কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। রবিরার মধ্যরাত থেকে অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন অবস্থায় রাখা হয়েছিল তাঁকে। ডায়ালিসিসের প্রয়োজন থাকলেও ডায়ালিসিস দেওয়ার অবস্থায় তিনি ছিলেন না। ১০০ শতাংশ ভেন্টিলেটরি সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। কিডনির সমস্যা নিয়েই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পরে ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে তাঁর।
আরও পড়ুন,Tarun Majumdar Death: 'আমি কিছু বলার অবস্থায় নেই' কান্নায় ভেঙে পড়লেন সন্ধ্যা রায়
আরও পড়ুন, Tarun Majumdar Death: মরনোত্তর দেহদান, রবীন্দ্র সদন বা নন্দনে যেতে চাননি প্রয়াত তরুণ