Pradeep Sarkar: ‘অনেক গান শোনানো বাকি রয়ে গেল!’, পরিচালকের প্রয়াণে শোকাতুর অম্বরীশ, সৌমিলিরা
বাঙালি দাপটে বিজ্ঞাপন থেকে বলিউড সিনেমার জগতে কাজ করে গিয়েছেন প্রদীপ সরকার। হঠাৎই চলে গেলেন পরিচালক প্রদীপ সরকার। তবে পরিচালক কেবল বলিউডেই সীমবদ্ধ ছিলেন না। কলকাতার কলাকুশলীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ছিল তাঁর। তাই তো তাঁর প্রয়াণে ম্রিয়মান অম্বরীশ, সৌমিলি, প্রতীমরা।
সৌমিতা মুখোপাধ্যায়: মনখারাপ বলিউডের। জীবন বড়ই অনিশ্চিত, সকালবেলার খবরটা নাড়িয়ে দিয়েছে সকলকে। হঠাৎই চলে গেলেন পরিচালক প্রদীপ সরকার। তবে পরিচালক কেবল বলিউডেই সীমবদ্ধ ছিলেন না। কলকাতার কলাকুশলীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ছিল তাঁর। তাই তো তাঁর প্রয়াণে ম্রিয়মান অম্বরীশ, সৌমিলি, প্রতীমরা। বাঙালি দাপটে বিজ্ঞাপন থেকে বলিউড সিনেমার জগতে কাজ করে গিয়েছেন প্রদীপ সরকার। প্রিয় মানুষটাকে সকলেই ‘দাদা’ বলে ডাকত।
অম্বরীশ ভট্টাচার্য স্মৃতিচারণ করে বলেন, ''আমার এক শিক্ষক, দাদা, বন্ধু চলে গেলেন। প্রদীপ সরকারের সঙ্গে প্রথম আলাপ ২০১৬ সালে। আমাকে উনি চিনতেন না। কলকাতায় কোনও এক বিজ্ঞাপনে হোডিংয়ে আমার চেহারা দেখে বিজ্ঞাপনের অফার দেন। উনি যোগাযোগ করায় ভীষণ অবাক হই। তারপর অডিশন নেন। প্রথম কাজও করি চণ্ডীগড়ে শ্যুট ছিল। এরপর গত কয়েকবছরে প্রায় ১৯টি বিজ্ঞাপনে কাজ করি। একটা সময় প্রায় প্রতিমাসে ডাকতেন ফোন করে।''
আরও পড়ুন, Pradeep Sarkar passes away: বলিউড 'নিষ্প্রদীপ'! প্রয়াত 'পরিণীতা'-পরিচালক...
তিনি আরও বলেন, ''আমার গলায় অখিলবন্ধুর গান, শ্যামল মিত্র, মানবেন্দ্রর গান শুনতে ভালোবাসতেন। ওর জন্য আমার জীবনে এক নতুন দিগন্ত খুলে গিয়েছে। ওর জন্যই অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়। মাটির মানুষ ছিলেন। একদম বাঙালি ছিলেন। হিন্দি বলতেই পারতেন না ভালো। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে আমার জন্য বাড়ি থেকে ইলিশ পোস্ত করে এনেছিলেন। কোভিডের পর ওর শরীর ও মনোবল ভেঙে গিয়েছিল। হাঁটতেও পারছিলেন না ভালো করে। বৌদি বলেছিলেন, কোভিডের পর থেকে ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। আমার আরও অনেক গান শোনানো বাকি থেকে গেল। যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন দাদা।''
সৌমিলিও কাজ করেছেন প্রদীপ সরকারের সঙ্গে, ''তাঁর প্রথম ন্যাশানাল বিজ্ঞাপনও এই পরিচালকের হাত ধরেই। এদিন তিনি বলেন, আমার প্রথম ন্যাশানাল বিজ্ঞাপন প্রদীপদার হাত ধরে। তরুণ মজুমদারের পরে যদি কারও ইউনিট মনে থেকে যায় সেটা প্রদীর সরকারের ইউনিট। বম্বেতে যেভাবে ট্রিট করা হয়েছে তা ভুলতে পারবো না। বলতেন তোর নামটা বড্ড বড়। সৌমিলি বলে আমাকে ডাকতেন না, তুয়া বলে ডাকতেন। লুকিয়ে লুকিয়ে মিষ্টি খেতেন। পরশুদিন রাত্রে কথা হয়েছে। একদিন পর এই সকালটা ভাবতে পারছি না। এলাতেও ছোট্ট চরিত্র করার কথা ছিল। কিন্তু নিজেই বলেছিলেন এটা করিস না খুব ছোট চরিত্র। তোকে পরে আমি ভালো চরিত্র দেব। খবরটাই মেনে নিতে পারছি না।''